ডোমেইন কী, ডোমেইন সম্পর্কে বিস্তারিত

 বর্তমান প্রযুক্তির

 প্রবেশদ্বার সঠিক

 ডোমেইন নির্বাচন 


What is Domain



আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিজিটর আশা করি সবাইই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকের টপিকে আপনাদেরকে বুঝানো হবে যে "ডোমেইন কী" ডোমেইন দিয়ে হবে কী এবং ডোমেইন হতে পারে আপনার আয়ের প্রধান মাধ্যম।

সবার প্রথমে জেনে নেই যে ডোমেইন কী?আসলে ডোমেইন হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের একটি ঠিকানা যাতে চেনা যায়।বাৎসরিক মেয়াদে আপনি খুব খরচে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে পারবেন।

অনেক হাজারো রকমের ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্ট্রার করার ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে স্বল্প খরচে আপনি ডোমেইন হোস্টিং কিনতে পারবেন।তবে স্বল্প খরচে আপনি ডোমেইন কিনতে চাইলে HostingSeba ওয়েবসাইটে গিয়ে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে পারবেন। 

না আমি কোনো ওয়েবসাইটের প্রচারণা চালাচ্ছি না,আসলে ঘুরে দেখলাম তাদের সার্ভিসটি খুব ভালো।এছাড়াও আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি ডোমেইন হোস্টিং কিনে প্রফেশনালভাবে ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন।

এডসেন্স পেতে গেলেও ডোমেইন হোস্টিং এর গুরুত্ব অনেক।সাবডোমেইন দিয়েও পাওয়া যায় তবে একটু লেট হয় এপ্রুভ হতে।তবে.Com ডোমেইনে প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে।তবে এডসেন্স এ এপ্রুভ পেতে.com ডোমেইনের বয়স ২ তিন মাস হলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবে কারণ গুগল এডসেন্স পুরোনো ডোমেইনকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।মনে রাখবেন অনলাইন জগতে আপনার পরিচিতির জন্য ডোমাইন নাম অনেক কাজে দিবে।তাই ডোমেইন নেম আপনার ইউজ করা উচিত।

ডোমেইনের ইতিহাস :

ইন্টারনেট ডোমেইন সিস্টেম ব্যবস্থাপনার ইতিহাস ১৯৮০ সালের দিকে শুরু হয়েছিল যখন আর্পানেটের (ARPANET) এর ঠিকানা সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে।শুরুর দিকে কম্পিউটারগুলোর ঠিকানা সংরক্ষণ করা হতো IP (internet protocol) ব্যবহার করে। সংখ্যালগু ছিল আগেরকার দিনের কম্পিউটারের IP ঠিকানা।যাইহোক, সংখ্যালঘু Ip মনে রাখা সহজ ছিল না,তাই ১৯৮৩ সালের দিকে DNS (Domain Name System) চালু হয়,তখন থেকেই ডোমেইন নেম সেবা চালু হয়।আর ইন্টারনেটে যদি কোনো ডোমেইন নেম আগে থেকে থাকে তাহলে ঐ ডোমেইন নাম আর দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় না।তো আমরা এটাই বুঝতে পারলাম আগের থেকে এখন অনেক উন্নত হয়েছে।অনেক এখন সুবিধা হয়েছে যার যার নামে পরিচিত থাকবে।আর আমরা মোটামুটি সবাইই জানি ডোমেইন নেম কী।যেমন - www.https://example.com হচ্ছে একটি ডোমেইন নাম.com হচ্ছে টপ লেভেলের ডোমেইন।ডোমেইন নাম সর্বপ্রথম ব্যবহার হয়েছিল ১৯৮৫ সালের দিকে যখন Symbolics.com নিবন্ধিত হয়েছিল,যখন তা ছিল প্রথম বাণিজ্যিক ডোমেইন নাম ছিল।এরপর থেকে ডোমেইন নামের ব্যবস্থা ব্যপকভাবে জনপ্রিয়তা পায়। এখন বর্তমানে উচ্চ লেভেলের ডোমেইন উপলব্ধ রয়েছে যেখানের রয়েছে জেনেরিক টপ ডোমেইনস gTLDs এবং কান্ট্রি কোড টপ লেভেলের ডোমেইনস ccTLDs।

ডোমেইন ও হোস্টিং এর মধ্যে পার্থক্য :

মূলত ডোমেইন হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানা হিসেবে কাজ করে।ডোমেইন একটি ওয়েবসাইটের পরিচিতি নির্দেশ করে এবং ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের ডোমেইন নাম সার্চের পরে কাঙ্খিত নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে তাদেরকে নিয়ে যায়।ডোমেইন নাম মূলত কয়েকটি শব্দ বা অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত।যেমন- example.com

অন্যদিকে,হোস্টিং হচ্ছে একটি সেবা যা একটি ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য বা ডেটাকে ইন্টারনেটে সংরক্ষণ করে রাখে।হোস্টিং হচ্ছে সেই কম্পিউটারের জায়গা বা সার্ভারের জায়গা যেখানে কন্টেন্ট সংরক্ষণ করা থাকে। মোটকথা ডোমেইন হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের নাম এবং ঠিকানা এবং হোস্টিং হচ্ছে সেই স্থান যেখানে আপনার সকল ফাইল বা ডেটা সংরক্ষিত থাকবে।মূলত এই দুটি বিষয়ের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট গঠিত হয়।

ডোমেইন নেম কিভাবে কাজ করে :

ডোমেইন নেম মূলত ইন্টারনেটের মৌলিক অংশ যা মানুব-পাঠ্যযোগ্য ডোমেইন নামগুলোকে (www.example.com) কে মেশিন পাঠ্যযোগ্য IP address এ (192.1.2) রূপান্তর করে।এই প্রক্রিয়াটি কয়েকটি ধাপে হয়ে থাকে, নিচে তা দেওয়া হলো:-

(১) ডোমেইন নাম সার্চ : ইন্টারনেটে যখন আপনি যেকোনো একটি ডোমেইন নাম সার্চ করেন এন্টার দেন তখন আপনার সার্চের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে আইপি এড্রেসের মাধ্যমে আপনাকে তথ্য পৌঁছে দেয়।

(২) DNS সার্চ : ব্রাউজারে যখন সার্চ দেওয়া হয়, তখন প্রথম ক্যাশে দেখে এবং সেখানে সার্চের বিষয় বা তথ্য না থাকে তাহলে আপনাকে পরে উচ্চতর ডিএনএস সার্ভারে আপনাকে নিয়ে যায়। 

(৩) আইপি এড্রেস প্রাপ্তি : DNS সার্ভার ডোমেইন নামটির সঙ্গে যুক্ত আইপি ঠিকানাটি খুঁজে পাওয়ার পরে,সেটি ব্রাউজারে পাঠিয়ে দেয় এর পরে আপনি সেই তথ্য পড়েন বা দেখেন অথবা ক্লিক করেন।

(৪) ওয়েবসাইট লোডিং : তারপরে ঐ ব্রাউজারে সংযোগ স্থাপন করে এবং ডেটার জন্য অনুরোধ করে ওয়েব সার্ভার থেকে পাঠানো তথ্য গ্রহণ করার পরে তা ব্রাউজারে তথ্য প্রদর্শন করে থাকে।
আর এই পুরো সিস্টেম কিছু সেকেন্ড বা মিনিটের মধ্যে হয়ে থাকে।

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এসব ডোমেইন হোস্টিং কিভাবো ও কোথায় থেকে কিনবো, সাথেই থাকুন বুঝিয়ে দিচ্ছে সকল কিছু।

ডোমেইন হোস্টিং প্লাটফর্ম :

বাংলাদেশ থেকে অনেক ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডর প্লাটফর্ম রয়েছে যেখান থেকে আপনি বিকাশ নগদ রকেট বা ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করে ডোমেইন কিনতে পারবেন।নিছে কয়েকটি বাংলাদেশের ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডরের ওয়েবসাইটের লিংক সহ দেওয়া হলো :- 

HostSeba : হোস্টসেবা ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের সুনামধন্য একটি ডোমেইন সার্ভিস প্রোভাইডার যা কি না কাস্টমারের উপযুক্ত অনুযায়ী সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।তাদের সার্ভিস খুবই ভালো,এবং ন্যায্যমুল্যে ডোমেইন রেজিস্ট্রার সেবা দিয়া থাকে। HostSeba ওয়েবসাইটটি ভালো কাস্টমার সার্ভিস ও বিশ্বস্থতার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে।তারা কাস্টমারদেরকে যেসব সার্ভিস দিয়ে থাকে 
  • শেয়ার্ড ওয়েব সার্ভিস 
  • রিসেলার হোস্টিং 
  • ভার্চুয়াল প্রাইভেট হোস্টিং (VPS)
  • ডেডিকেটেড সার্ভার
  • SSL সার্টিফিকেট 
  • ডোমেইন নাম নিবন্ধন 
আরো তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি তাদের সাইটে ভিজিট করে আসতে পারেন যদি মনে করেন আপনি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট খুজছেন ডোমেইন কেনার জয়।

XenonBD : জেনন বিডি হচ্ছে বাংলাদেশের আরেকটি অন্যতম ওয়েবসাইট যেখানে ডোমেইন হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে। এই প্লাটফর্মটি বিশেষ করে বাংলাদেশের ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্ট্রার, ওয়েব হোস্টিং,বিভিন্ন আইটি সম্পর্কে সেবা প্রদান করব থাকে।XenonBD তাদের গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ ও দ্রুতগতির সার্ভিস প্রদানের উপর জোর দেয়।তাদের কিছু সেবা দেওয়া হলো :-

  • শেয়ার্ড হোস্টিং  : বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি সাইজের ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত। 
  • VPS Hosting : যেসব গ্রাহকদের আরো বেশি প্রয়োজন তাদের জন্য এটি উত্তম।
  • ডেডিকেটেড সার্ভার  : উচ্চমানের পারফর্মেন্স ও নিরাপত্তা প্রদানের জন্য।
  • SSL Certificate : ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বাড়ায়।
  • ক্লাউড হোস্টিং : ফ্লেক্সিবিলিটির ও স্কেলিবিলিটির জন্য খুবই উপযুক্ত। 
এবার আসুন জেনে তিনটি টপ লেভেল ডোমেইন সম্পর্কে জেনে নেই :-

টপ লেভেলের ডোমেন মূলত .com/.net/.org
ডোমেইন হলো একটি ওয়েবসাইটের নাম।ডোমেইনের মাধ্যমেই একটা ওয়েবসাইটের পরিচিতি।অনেক গুলো ডোমেইন ইন্টারনেটে এভেইলএবল রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে টপ-লেভেলের ডোমাইন হচ্ছে .com/.net/.org
আসলে.com ডোমেইন ব্যবহৃত হয় কমার্সিয়াল বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য, মোট কথা আপনার ওয়েবসাইট থেকে আপনি করবেন তাহলে আপনি.com ডোমেইন ব্যবহার করবেন।

.net হচ্ছে অন্য আরেকটি টপ-লেভেলের ডোমেইন নাম।এটি মূলত ব্যবহার করা হয় নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত ওয়েবসাইট।

.org হচ্ছে টপ-লেভেলের অন্যতম একটি ডোমেইন নাম এটিও আপনি ব্যবহার করতে পারেন তবে আপনার সাইটটি অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং কোনো সংগঠন।

আসলে.org ব্যবহার করা হয় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বা অলাভজনক সংগঠনের জন্য আয় করা যায় কিন্তু অল্প লাভ।

উপসংহার

সুতরাং ডোমেইন কী তা সম্পর্কে জানতে পারলেন।এবার আপনি কাজ শুরু করে দিতে পারেন।মনে রাখবেন শিখানোর দায়িত্ব আমাদের তাই আপনাদেরকে শিখিয়ে দিলাম।কিন্তু পরিশ্রম কিন্তু আপনাকেই করতে হবে।

পরিশ্রম সফল হওয়ার মূলমন্ত্র।তাই সফল হতে হবে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।

আর হ্যাঁ এডসেন্স এপ্রুভ পেতে ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্ট্রার করার কথা ভুলবেন না,

উপরের দুটি ওয়েবসাইটের যেকোনো একটির সাইটে গিয়ে ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্ট্রার করতে পারবেন।তাদের ওয়েবসাইটের লিংক করা আছে লিংক এ ক্লিক করে সরাসরি তাদের ওয়েবসাইটে পৌঁছে যাবেন।

না তারা আমাকে স্পনসর করেনি,তাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখলাম তাদের সার্ভিস আসলেই অনেক ভালো তাই আপনাদেরকে সাজেস্ট করলাম।

তাই সবাই ভালো থাকবেন নেক্সট একটি পোষ্টে ডোমেইন কীভাবে রেজিষ্ট্রেশন করবেন তা নিয়ে একটি পোষ্ট নিয়ে আসবো তাই আমাদের সাথেই থাকুন।

কষ্ট করে পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময় 
আসসালামু আলাইকুম। 



নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال