অনলাইন থেকে ইনকাম।

কিভাবে অনলাইন থেকে

 ইনকাম করবেন। ( How to

 income From online) 


Earn money from online


আজকে আমার এই ব্লগের মাধ্যমে জানতে পারবেন বর্তমানে ২০২৪
 সালের দিকে যারা অনলাইনে আয় করতে চায় কিন্তু
 এখনো কিছু করতে পারেনি শুধুমাত্র তাদের জন্যই আজকের ব্লগ।

অনলাইনে ইনকাম করা বর্তমানে খুব প্রচলিত একটি "শব্দ" অনেকে সফলও হয়েছে অনলাইন আয়ের মাধ্যমে, যারা সফল হয়েছে অবশ্যই তাদের মেধা পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে সফল হতে পেরেছে।আপনিও পারবেন সফল হতে তবে বুদ্ধি ও পরিশ্রম দুটোর দিকেই ফোকাস দিতে হবে। আজকাল অনলাইন যে কেউ চাইলে আয় করতে পারে,যদি মেধা আর পরিশ্রমকে কাজে লাগাতে পারে। তো আসুন জেনে নেই কিভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইনে আয় করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে মোটামোটি সবাইই পরিচিত।অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে হিউজ পরিমাণ আয় করে চলেছে। আসুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। যেখানে আপনি নিজের সময় ব্যয় করে টাকা উপার্জন করবেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি প্রফেশনালভাবে একটি প্রোফাইল তৈরী করে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নিয়ে সাবমিট করে আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন Fiverr,Upwork,Freelancer,People Per Hour ইত্যাদি। এসব ওয়েবসাইটে আপনি ভালো ভাবে গিগ তৈরি করে ক্লায়েন্ট দেখলে ভালো লাগলে আপনাকে কাজ দিবে,এবং কাজটি আকর্ষণীয়ভাবে কাজটি জমা দিতে পারলে ভালো একটা আর্নিং হবে। এসব ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন- ডাটা এন্ট্রি, ট্রান্সলেশন জব,গ্রাফিক্স ডিজাইন,আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি। এসব ছাড়াও এসব সাইটে আরো নানা ধরনের কাজ রয়েছে যা করে আপনি প্রতি মাসে মিনিমাম ২০-৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

আর্টিকেল লিখে আয়

আর্টিকেল লিখে আয় করা এটি আরো একটি মাধ্যম যেখানে আপনি আর্টিকেল লিখে ভালো পরিমানের একটা আয় করতে পারবেন।এমনকি আপনার লেখা আর্টিকেল বিভিন্ন ওয়েবসাইটে জমাদানের জন্য আপনি টাকা পাবেন।যেমন আপনার স্বাস্থ্য ও খাবার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি আপনার স্বাস্থ্য ও খাবার সম্পর্কে লেখা EatingWell এ জমা দিয়ে আয় করতে পারেন। ইটিংওয়েল এ একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলে এবং তারা যদি এটি এপ্রুভ করে তাহলে আপনার লেখা আর্টিকেল তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবে আর আপনাকে হিউজ পরিমাণ একটি ডলার দিয়ে দিবে।তবে কপি করে আর্টিকেল লিখাটা মোটেও ঠিক কথা না,কপি করে লিখে কোনোদিনও আপনি আয় করতে পারবেন না।এছাড়াও আরো অনেক আর্টিকেল জমা দিয়ে আয় করার ওয়েবসাইট আছে বাকি ওয়েবসাইট পরে পোষ্টে দেওয়া হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

বর্তমানে ট্রেন্ড আর্নিং মাধ্যম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং কী?আগে তা জেনে নেই।এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আপনি অন্য কারোর প্রোডাক্ট সেল করা।ঘাবড়ানোর কিছু নেই,অন্য কারো প্রোডাক্ট আবার আমি কিভাবে বিক্রি করবো এটা চিন্তা হচ্ছে তো,ঘাবড়ানোর কিছু নেই।আসলে আপনাকে অন্য কারো প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হলে আপনাকে আগে ঐ ওয়েবসাইটে একটি এফিলিয়েট একাউন্ট করে নিতে হবে।এফিলিয়েট মার্কেটিং এ অনেক টাকা উপার্জন করা যায়।খুবই সিম্পল একটি বিষয় এই এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বড় ওয়েবসাইট গুলো হচ্ছে - আমাজন এসোসিয়েট, শপিফাই,ইত্যাদি। এসব বড় বড় ওয়েবসাইটে আপনি এফিলিয়েট একাউন্ট করে তাদের পণ্য বিক্রি করে দিলে আপনাকে কমিশন দেওয়া হবে প্রোডাক্টসের হাড় নির্ণয় করে।এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে এসব কাজ আমি করবো কিভাবে? আসলে এসব করার জন্য আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে। আপনি বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম থেকে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন।যেমন একটি ব্লগার একাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল,ফেসবুক পেজ অর্থাৎ সোসিয়াল মিডিয়া তে বিক্রি করতে পারবেন। যেমন আমাজনের কথাই ধরি আমাজন এসোসিয়েট এ যখন আপনি এফিলিয়েট একাউন্ট করবেন তখন আপনি তাদের পণ্য লিংক আপনাকে দিবে আর আপনার কাজ হচ্ছে সেই লিংকটি সোসিয়াল মিডিয়া বা অন্যান্য প্লাটফর্মে লিংক শেয়ার করে দিবেন,কোনো লোক যদি আপনার এই লিংকের মাধ্যমে প্রোডাক্টটি কিনে তাহলে আপনি আমাজনের থেকে কমিশন পাবেন।আর আপনি যদি প্রতিদিন ৫ টি করেও প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন তাহলে ধারণা করা যায় মিনিমাম ৩০-৪০ ডলার আয় করতে পারবেন।

ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করে আয়

বর্তমানে অনেকে ব্লগ ওয়েবসাইটে ব্লগ লিখে আয় করে ইনকাম করছে।আপনি যদি একজন সফল ব্লগার হতে চান,তাহলে অবশ্যই অনলাইন আয়ের মাধ্যম সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।ফ্রিতে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করে প্রচুর আয় করতে পারেন।ব্লগার.কম এ ফ্রীতে একটি একাউন্ট করে ব্লগ লিখে আয় করতে পারেন।তবে ভালো আয় করতে চাইলে আমি মনে করি ডোমেইন কিনে কাস্টম ডোমেইন এড করে নিলে ভালো হয়,আর ডোমেইন বিকাশের নগদ ও রকেট বা ব্যাংক আউন্টের মাধ্যমে কিনতে পারবন,তবে এত বেশি টাকাও ব্যহ হবে ৫০০-এক হাজার বা কিছু কম বেশি খরচ করলে আপনি এক বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন পেয়ে যাবে।ঐসব বিষয়ে না যাই,অন্য পোষ্টে আপনাদেরকে অন্য ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্ট্রার সম্পর্কে দেওয়া হবে।ব্লগে আপনার নিজের তৈরী করা কন্টেন্ট লিখে আপনি আয় করতে পারেন।ব্লগ ওয়েবসাইটে আয় করার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ব্লগ ওয়েবসাইটে এডস দেখানো।আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে এডস দেখানোর জন্য বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে যেমন -AdSense,  Adsterra, A.Ads আরো এডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইট মনিটাইজেশনের মাধ্যমে এডস শো করিয়ে আয় করা যায়।তবে সবচেয়ে বেটার হয় গুগল AdSense, কারণ গুগল AdSense এ কিছু নীতি আছে যা আপনার মেনে চলা জরুরী।আপনি গুগল AdSense এর নীতি অনুসরণ সহজেই মনিটাইজ করে আয় করতে পারেন।আর হ্যাঁ AdSense পেতে অবশ্যই আপনার লেখা অরিজিনাল হতে হবে।আবার ট্রাফিক থাকতে হবে প্রচুর।ট্রাফিক বলতে বুঝায় ওয়েবসাইটের লোকসংখ্যা যারা আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আর এই ভিজিটর যত বেশি হবে তত ভালো ইনকাম হবে।

ট্রান্সলেশন জব করে আয়

ট্রান্সলেশন জব সবচেয়ে সহজ কাজ।এই কাজ মূলত আপনি যেকোন ভাষা থেকে অন্য আরেকটি ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া বা ট্রান্সলেশন করা।ট্রান্সলেশন জব করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি বিভিন্ন ভাষায় ট্রান্সলেশন করে আয় করতে পারেন।একদম সিম্পল একটি তবে ভালো একটা রেভিনিউ আসে ট্রান্সলেশন জব থেকে।

টিউটরিয়াল লিখে আয়

মনে করুন আপনি গণিত শিক্ষক,আপনি গণিত বিষয়ে খুব পারদর্শী এখন আপনি চাইছেন আপনার এই শিক্ষার মান আপনি স্কুল,কলেজ,টিউশনি ইত্যাদির পাশাপাশি অনলাইনে গণিত বিষয়ে টিউটোরিয়াল দিয়ে আয় করতে চান সেটিও আপনি পারবেন।এটি হচ্ছে অনলাইন টিউটোরিয়াল আয়।আপনি ইচ্ছে করলে যেকোন বিষয়ের উপর আর্টিকে পাবলিশ বা টিউটোরিয়াল দিয়ে আয় করতে পারেন।আপনি অল্প কিছু টাকা ব্যয় করে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে সেখানে শিক্ষণীয় টিউটোরিয়াল দিতে পারেন। অথবা আপনি বই বিক্রি করেও আয় করতে পারেন।

👉ওয়েব সার্ভার সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন..

ইউটিউব থেকে আয়

ইউটিউব হচ্ছে আয় করার অন্যতম মাধ্যম। ইউটিউবে আপনি একটি চ্যানেল খুলে আয় করতে পারেন,AdSense, এফিলিয়েট, স্পনসর ইত্যাদি ভাবে আপনি আয় করতে পারবেন।মাসে ভালো একটা রেভিনিউ আর্ন হবে।সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন তারপরে আপনি ভিডিও আপলোড করতে থাকবেন একটা সময় আপনার চ্যানেল গ্রো হবে এবং মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আপনি আর্ন করতে পারবেন।মনে রাখবেন অরিজিনাল ভিডিও দিবেন সবচেয়ে এটাই ভালো হবে আর্ণিংয়ের জন্য।যদি মনে করে আপনি ফেস না দেখিয়ে আয় করতে তাও পারবেন ভয়েজওভার করে আয় করতে পারবেন। তবে ফেস না দেখিয়ে ইউটিউবে আপনি টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন এতেও কোনো সমস্যা নাই।দেখবেন এক সময় গিয়ে আপনি প্রতিমাসে ২০০-৩০০ ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে দাঁড়ায় ২ লক্ষ-তিন লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুকও কিছুটা ইউটিউবের মতোই।এখানেও আপনি মনিটাইজেশন অন করে এডস এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।তবে আমরা সকলেই জানি বিশ্বে ইউটিউবের চেয়ে ফেসবুকের ইউজার বেশি।তাই ফেসবুকের মাধ্যমেও আপনি ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।যেমন ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল তৈরী করে সেখানে ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারেন।২০২৪ সালের দিকে এসে ফেসবুক একটি নতুন আপডেট নিয়ে এসেছে আপনি ভিডিও আপলোড করলেই ইনকাম হবে, এই আপডেটের মাধ্যমে আপনার আয় হবে ঠিকই কিন্তু in-stream ads ক্রাইটেরিয়া পূরন করতে হবে।এছাড়াও ফেসবুকে আয় করার আরো কিছু অপশন আছে যেমন Ads on reels. রিলস ভিডিও আপলোড করেও ইনকাম করা যায়।সাবস্ক্রিসন এর মাধ্যমে আয় করা যায়। ইত্যাদি উপায় রয়েছে ফেসবুক থেকে আয় করার  জন্য।

উপসংহারে, 

মোটামুটি সবাইই চায় অনলাইন আয় করতে।আমার এই ব্লগ পোস্টে যেসব মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেসব সম্পর্কে আপনারা একটু ভালোভাবে ঘাটাঘাটি করে দেখে নিবেন যদি ভালো ভালে বুঝতে চান তাহলে আপনারা সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।আর আমাদের ওয়েবসাইটে সবসময় আপনারা অনলাইন রিলেটেড, বিজ্ঞান সম্পর্কে, বিভিন্ন টিউটোরিয়াল সম্পর্কে জানতে পারবেন।আর অনলাইনে আয় করতে গেলে একটু তো কষ্ট করতেই হবে।যেসব মাধ্যম উল্লেখ করা হয়েছে সেসব প্লাটফর্ম রিয়েল আপনার কষ্টের মূল্য তারা দিবে অবশ্যই। তার জন্য আপনাকে কষ্ট করে যেতে হবে একসময় অবশ্যই সফল হতে পারবেন।


কিভাবে ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্ট্রার করবে? 


নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال