আয়ের উৎস বিস্তারিত।Income source

 অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি - আয়ের উৎস। 


Income source


আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন সবাই।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমরা নিয়ে আসলাম আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।আপনি আজকের এই ব্লগ পোস্টে জানতে পারবেন বাংলাদেশের কিছু আয়ের উৎস সম্পর্কে। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই আজকের বিষয়ে।

আয়ের উৎস কী 

মূলত আয়ের উৎস বলতে বুঝায় যেগুলোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা হয়।আয়ের উৎস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন - চাকরি, ব্যবসা,লাইসেন্সিং, পেনশন,সরকারি অনুদান ও সাহায্য।এসব উৎস থেকে মানুষ তাদের প্রাত্যহিক জীবনের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।তাই আয়ের উৎসের দিকে গুরুত্ব দেয়া মানুষের জন্য দায়িত্বশীলতা হয়ে দাঁড়ায়। 

বাংলাদেশের আয়ের উৎসের ইতিহাস

বাংলাদেশের আয়ের উৎসের ইতিহাস বৈচিত্র্যময় ও অনুসন্ধান যাত্রাপথ।প্রায় স্বাধীনতার পূর্বকাল থেকে এদেশের অর্থনীতি বিভিন্ন পর্যায়ের ভিতর দিয়ে বেড়ে উঠেছে।বাংলাদেশের ইতিহাসে কৃষিপ্রধান আয়ের উৎস হিসেবে প্রধান ছিল।মূলত প্রাচীন কালে চাল,পাট, গম ও মসলিন কাপড়ের পণ্য উৎপাদন এদেশে সমৃদ্ধি এনেছিল।মূঘল আমল থেকেই বাংলাদেশ তার বস্ত্রশিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল।ঢাকার মসলিন পুরো বিশ্ব বিখ্যাত ছিল।১৯৭১ সালের পর থেকে অর্থাৎ বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ক্রমশই বাড়তে থাকে।এবং আস্তে আস্তে আয়ের উৎসও বৃদ্ধি পেতে থাকে।আজ আমরা কিছু প্রধান প্রাতিষ্ঠানিক আয়ের উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিবো।

আয়ের উৎস কী কী 

  • চাকরি : পূর্ণ বা অংশকালীন চাকরির বেতন থেকে আয়ের একটি উৎস। 
  • ব্যবসা : কোম্পানী অথবা ব্যক্তিগত ব্যবসা থেকে আয়ের একটি উৎস আসে।
  • ফ্রিল্যান্সিং : ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে একটি আয়ের উৎস পাওয়া যায়।কম-বেশি পাওয়া যায়।
  • সম্পত্তি ভাড়া : বাড়ি,দোকান, ফ্ল্যাট ইত্যাদি থেকে যে ভাড়া আসে তা আয়ের একটি উৎস। 
  • সরকারী অনুদান ও সাহায্য : সরকারী প্রকল্প ও সাহায্য অনুদানের পক্ষ থেকে ভালো আয়ের একটি উৎস। 

পারিবারিক আয়ের উৎস কী কী 

  • চাকরি : পরিবারের কেউ যদি চাকরি করে টাকা আয় করে তা হচ্ছে পারিবারিক আয় উৎস। 
  • ব্যবসা ও উদ্যোগ : পারিবারিক ব্যবসা থেকে আয়।
  • সম্পত্তি ও ভাড়া : পারিবারিক সম্পত্তির থেকে টাকা আসা ও ভাড়া থেকে আসা টাকা।
  • পেনশন : পরিবারের কেউ সরকার থেকে পেনশন পেলে তা আয়ের উৎস। 
  • রয়ালিটি ও কপিরাইট : পরিবারের কেউ যদি শিল্পী,কবি, লেখক হয় তাদের আয়ের উৎস হিসেবে টাকা ধরা হয়।

সরকারি আয়ের উৎস কী কী 

  • আয়কর : ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপার্জিত টাকা থেকে সরকার কর্তৃক আদায় কর।
  • করপোরেট কর : প্রতিষ্ঠানের লাভের অংশ থেকে কর।
  • মূল্য যোগ কর : পণ্য ও সেবার উপর আরোপিত কর।
  • আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক : পণ্য আমদানি ও রপ্তানির সময় শুল্ক।
  • ফি ও চার্জ : সরকারি সেবা,লাইসেন্সসিং ও রেজিষ্ট্রেশন ফী থেকে।
  • জরিমানা ও জরিপ : বিভিন্ন অপরাদের জন্য নির্ধারিত জরিমানা।
  • ভাড়া ও লিজ : সরকারি মালিকানাধীন সম্পত্তি ও ভূমি থেকে আয়।
  •  প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন খনিজ পদার্থ,তেল,গ্যাস ইত্যাদির খনন ও বিক্রি থেকে।
  • সরকারি বন্ড ও সিকিউরিটি : বন্ড ও ট্রেজারি বিল থেকে ইত্যাদির থেকে আয়।
  • ঋন ও অনুদান : বিদেশী সরকার ও সংস্থাগুলি থেকে প্রাপ্ত অর্থনৈতিক অনুদান।

ইসলামী রাষ্ট্রের আয়ের উৎস কী কী 

  • যাকাত : ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ধনী মুসলিম যারা আছেন তাদের থেকে নির্দিষ্ট সম্পদের থেকে  গরীব ও অসহায়দেরকে সাহায্যার্থে দান করা বাধ্যতামূলক। 
  • খারাজ : জমির উপর আরোপিত কর যা সাধারণত জমির থেকে উৎপাদিত আয়ের একটি ভাগ আসে এটা থেকে।
  • উশর : কৃষি উৎপাদনের আরোপিত কর,যা এর একটি অংশ থেকে যে আয় আসে সেটি থেকে গরীদের সাহায্য করা বাধ্যতামূলক। 
  • জিজিয়া : অমুসলিম নাগরিকদের থেকে আদায়কৃত কর, যা তাদের সুরক্ষা ও রাষ্ট্রের অন্যান্য সেবার বিনিময়ে কর আদায় করে থাকে।
ইত্যাদি আরো কিছু আছে, উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো প্রদান উৎস তাই বর্ণনা করলাম।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের উৎস কী কী 

  • সাধারণ ব্যাংকিং সেবা : ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ীক গ্রাহকদের মধ্যে মুদ্রার ঋন।জমা,স্থায়ী ও অস্থায়ী আয়নে অন্যান্য ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে আয়ের উৎস উৎপন্ন করা।
  •  ব্যাংকের নির্মাণ ও ঋণ বিতরন : ব্যাংক ঋণ প্রদান,নির্মান,প্রকল্প,শিল্প, ঋণের মুনাফা থেকে উৎপাদিত আয়।
  • বিনিয়োগ ও সুদের উপার্জন : ব্যাংক বিনিয়োগের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি এবং সুদের উপার্জন। 
  • মুদ্রা প্রতিপাদন : ব্যাংকের মধ্যে মুদ্রা প্রতিপাদন এবং মুদ্রা ব্যবস্থাপনা থেকে আয়।
  • বৈতনিক ব্যাংকিং সেবা : স্টক মার্কেট,আর্থিক সংকট ব্যবস্থাপনা, হিসাব পরিচালনা,বৈতনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে আয়ের সৃষ্টি। 
  • বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা : ব্যাংক মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবস্থাপনা করে আয় উৎপাদন সৃষ্টি। 

উপসংহারে 

আর এইভাবেই আয়ের উৎস হয়ে থাকে।আয়ের উৎস হচ্ছে একটি দেশের বা একটি ব্যাক্তির আয় করার সোর্স।যেখান থেকে আয় আসে সেটাকেই মূলত বলে আয়ের উৎস। আশা করি আয়ের উৎস সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়ে গেছেন।
নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال