বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক - বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে আসলাম "বাংলাদেশ ব্যাংক" সম্পর্কে। বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনীতি ও মুদ্রা নীতি পরিচালনা করে থাকে।এমনকি নিয়ন্ত্রনও করে থাকে।বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ দেশ মূলত বাংলাদেশ সরকারের নীতি ও আর্থিক নীতিমালা ও মুদ্রার নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে থাকে।বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তত্বাবধান করে এবং মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করা।
ব্যাংক নোট ও কয়েন ইস্যু করা বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অন্যতম দায়িত্ব। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ ও রিজার্ভ।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের ব্যাংকিং খাতে উন্নতি ও অটোমেশন উন্নয়ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশের সাথে যুক্ত।বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ডিন্যান্স জারি করব বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ও বিশ্বব্যাংকের সদস্যপদ লাভ করে।ঐ সময়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এরপরে প্রয়োজন হয় কিছু নীতি প্রণয়নের।তাই ১৯৭৬ সালে ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের নীতি প্রণয়ন করে।
১৯৮০-৯০ এর দশকে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়ন করে।
২০০০ এর দশকে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে নজর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।পরবর্তীতে অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু করে।যার ফলে ব্যাংকিং খাতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
২০০৩ সালের দিকে এসে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ $1 Billion অতিক্রম করে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার EFT চালু করা হয়।
আর এখান থেকেই বিকশিত হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর কে
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগদান করেন ২০২২ সালের ১২ জুলাই।
তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার আগে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন।তিনি দীর্ঘ ৩৪ বছরের অভিজ্ঞতায় বাজেট সংস্কার, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, পাবলিক ফাইন্যান্সের ম্যানেজমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।তিনি বিভিন্ন সরকারি চাকরির পদে যোগদান করেছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা কয়টি ও কী কী
বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা মোট ১০ টি।
১) মতিঝিল শাখা।
২) ময়মনসিংহ শাখা।
৩) সিলেট শাখা।
৪) রংপুর শাখা।
৫) খুলনা শাখা।
৬) বরিশাল শাখা।
৭) রাজশাহী শাখা।
৮) বগুড়া শাখা।
৯) চট্রগ্রাম শাখা।
১০) সদরঘাট শাখা।
বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের স্থপতি কে
বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের স্থপতি ছিলেন মোহাম্মদ শফিউল কাদের।মোহাম্মদ শফিউল কাদের ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকল্পের দায়িত্ব পান।বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান ঢাকার মতিঝিল শহরে।বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম উচ্চ ভবনগুলির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভবন নির্মিত হয়েছিল।
স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক
স্বাধীন হওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ছিল স্টেট ব্যাংকের অংশ।১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত বিভক্তির পরে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরে পূর্ব পাকিস্তান স্টেট ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৮ সালে পাকিস্তান স্টেট ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) অর্থনৈতিক কাজ তত্ত্বাবধান করে।১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।এবং স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
উপসংহার
বাংলাদেশ ব্যাংকের যাত্রা শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভূমিকা পালন করে আসছে।বাংলাদেশ ব্যাংক সকল বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিভাবক।
বিশেষ করে সংস্কার, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভূক্তির ফোকাস করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণভাবে অবদান রেখেছে।
মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্রগতি ছিল ১৯৭১ সালের পূর্ব মূহুর্ত থেকে।স্বাধীনতার পরবর্তী সময় বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাদের মূল কার্যক্রম শুরু করে দেয়।
আজকের পোস্ট এই পর্যন্ত। আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।আবার অন্য আরেকটি পোস্ট নিয়ে আসবে।ততক্ষণে সবাই ভালো থাকুন।আসসালামু আলাইকুম।
Tags
ব্যাংক