বাংলাদেশের ভিসা আবেদন। Bangladesh Visa Application.

বাংলাদেশের ভিসা আবেদন - বিস্তারিত। 


Bangladesh visa


আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তো আজকে আবার একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আসলাম বাংলাদেশের ভিসা আবেদন সম্পর্কে। আশা করি পুরো পোস্টটি পড়বেন।তো চলুন জেনে নেই আজকের ব্লগের টপিকে। 

বাংলাদেশের ভিসা (Bangladesh Visa)

ভিসা হচ্ছে একটি ধানাত্বক অনুমতিপত্র যেখানে আপনি বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন।এটি বিদেশী রাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দেয়, তবে হ্যাঁ তার সাথে পাসপোর্ট তো লাগবেই।অনেক সময় ভিসার শর্তাবলী থাকে এবং তা অনুযায়ী ব্যক্তি ভ্রমণ করতে পারে অন্যান্য দেশেভিসা সাধারণত পাসপোর্টের সাথে সংযুক্ত থাকে।আপনাকে পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আপনার আপনার আঞ্চলিক এরিয়াতে যোগাযোগ করতে হবে এবং বিভিন্ন কাগজপত্রাদি জমা দিতে হবে এবং কিছু ফী প্রদান করতে হয়।ভিসা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের ভিসা শর্তাদি মেনে চলতে হবে।

বাংলাদেশ ভিসার শর্তাদি (Terms of Bangladesh visa)

বাংলাদেশের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।যা আপনাকে ভিসা পেতে সাহায্য করতে পারে।আসুন জেনে নেই বাংলাদেশ ভিসার শর্তাদি : 

১) পাসপোর্ট : আপনার পাসপোর্ট অবশ্যই বৈধ হতে হবে এবং ভালো অবস্থায় থাকতে হবে।যেমন ছেড়া-ফাড়া এসব পাসপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়।তাই ক্লিয়ার একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে।

২) অনলাইনে বা প্রতিষ্ঠানিকভাবে যেভাবেই আপনি পাসপোর্ট তৈরি করেন না কেন আপনাকে একটি আবেদনের ফরম পূরণ করতে হবে।সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে ভুল হলে কোনো মতেই হবে না,সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করা বাধ্যতামূলক। সুতরাং সঠিকভাবে পূরণ করে নিবেন। দেখে দেখে।

ভিসার ইতিহাস (History of Visa)

ভিসার ইতিহাস খুবই প্রাচীন একটি বিষয়।মানবসমাজের ইতিহাসের সাথে সাথে মানুষের ভ্রমন করার প্রয়োজনীয়তা পড়ে এবং বিভিন নিয়ম কানুনের উৎপত্তি হয়।প্রাচীনকালে ভিসা সাধারণত রাষ্ট্রের মধ্যে ব্যক্তিগত,  বন্ধুত্ব, বাণিজ্যিক যোগাযোগ এবং রাজনৈতিক যোগাযোগের মধ্যেই ছিল।

বিশেষ করে যারা প্রাচীনকালে ব্যবসায়ী ছিল তাদের জন্য ভিসার দরকার বেশি ছিল,কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতো এবং নতুন নতুন জায়গার অনুসন্ধান করতো ব্যবসা করার জন্য। মধ্যযুগে রাজস্ব উঠতে ও রাজনৈতিক আবশ্যকতা মেটাতে ভিসার প্রয়োজন হতো।মোটকথা আগে সবাই ব্যবহার করার সুযোগ পেত না এই ভিসা।

আধুনিক যুগে এসে ভিসার গুরুত্ব আরো দিন দিন প্রসারিত হতে থাকছে।বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভ্রমণ ও এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষার্থে ভিসা গুরুত্ব অপরিসীম। এর মাধ্যমে পাবলিক কিছু শর্ত মানতে হবে।

বাংলাদেশের ভিসা আবেদন (Bangladesh visa Application)

বাংলাদেশের ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে যা নিচে দেওয়া হলো :-

১) আবেদন ফরম পূরণ : 

আপনাকে প্রথমে অনলাইনে অথবা পাসপোর্ট কার্যালয়ের অফিসে গিয়ে একটি ফরম পূরণ করতে হবে NID CARD অনুযায়ী। সকল তথ্য সঠিক থাকতে হবে।সকল তথ্য যেন এনআইডি কার্ড অনুসারে হয়।কোনো ভুল ইনফরমেশন দিবেন না।(যেমন - আইডি কার্ডে এক নাম পাসপোর্টে অন্য নাম, বয়স, ঠিকানা ইত্যাদি মিল না থাকলে কিন্তু কোনো কিছুই হবে সেটা মাথায় রাখবেন।

২) দরকারি ডকুমেন্টস : 

ভিসা আবেদনের জন্য পাসপোর্ট কপি,পাসপোর্ট সাইজ ছবিযুক্ত আবেদন ফরম।রিয়েল ঠিকানা(এনআইডি কার্ড অনুযায়ী), প্রয়োজনীয় প্রমানাধী যা যা লাগে তা দিতে হবে।

৩) ভিসার ফী প্রদান : 

প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টসের সাথে ভিসার ফী জমা দিতে হবে।এই ফী বিভিন্ন ভিসার জন্য বিভিন্ন ফী জমা দিতে হয়। (যেমন - ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য অন্যান্য ভিসার তুলনায় খুব কম হয়ে থাকে)।

৪) স্থানীয় অফিসে শেষ পর্যায় : 

শেষ পর্যায়ে এসে আপনি আপনার স্থানীয় অফিসে গিয়ে সকল তথ্য জেন্ব নিয়ে এবং প্রয়োজনীয় নথী বা ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে নিবেন।

বাংলাদেশ ভিসার ধরন (Bangladesh Visa Type) :

বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে।এক একজন একেক ভিসায় অন্য রাষ্ট্রে প্রবেশ করে।নিচে বাংলাদেশের ভিসার ধরন দেওয়া হলো : 

১) পর্যটন ভিসা : 

পর্যটন ভিসা হচ্ছে মূলত যারা অন্য রাষ্ট্রে শুধুমাত্র বেড়াতে যায়।তাদের ভিসার মূল্য খুব কম হয়ে থাকে। এ ধরনের পাসপোর্ট মূলত তাদেরকে দেওয়া হয় যারা কি না অন্য রাষ্ট্রের সৌন্দর্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক স্থান উপভোগ করতে যায়। 

২) ব্যবসায়ীক ভিসা : 

ব্যবসায়ীক ভিসা হচ্ছে মূলত যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের  উদ্দ্যেশে বাইরের দেশে যায়।এসব ভিসার মূল্য মূলত একটু বেশি হয়ে থাকে।সঠিকভাবে তথ্য পূরণ করে জমা দিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দ্যেশে অন্য রাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দেয়।

৩) অধ্যাপনা ভিসা : 

অধ্যাপনা ভিসা হচ্ছে শিক্ষা বা অধ্যাপনা (Student Visa) উদ্দ্যেশে অন্য রাষ্ট্রে ভ্রমণ করে থাকে।এ ভিসার মূলত ব্যবসায়ী ভিসার থেকে কিছুটা কম আছে।

৪) অন্যান্য ভিসা : 

বাংলাদেশের অন্যান্য ভিসাও প্রচলিত রয়েছে। যেমন পেশাগত, আদালতি,অনুমতি ইত্যাদি ভিসাকে অন্যান্য ভিসা বলে।

ভিসার ফী (Visa Fee) : 

ভিসার ফী মূলত ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী হয়ে থাকে।যেমন পর্যটন ভিসার মূল্য খুব কম হয়ে থাকে,ব্যবসায়ীক ভিসার মূল্য সাধারণ বেশি হয়ে থাকে,শিক্ষার ভিসার মূল্যও একটু বেশি হয়ে থাকে,ইত্যাদি আরো অনেক ক্যাটাগরির ভিসার নির্দিষ্ট মূল্য ফী রয়েছে।সেসব আপনি অনলাইন আবেদন বা অফলাইনে আবেদনের সময়ে জেনে নিবেন আপনার ক্যাটাগরি অনুযায়ী।

উপসংহার  (Conclusion)

তো বন্ধুরা জানতে পারলেন যে ভিসার আবেদন সম্পর্কে। তবে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার মূল্য বিভিন্ন হয়ে থাকে।আপনারা জেনে নিবেন,কারণ এর দাম কম-বেশি উঠানামা করতে পারে।তাই আপনারা অনলাইন অফলাইন দুটোই চেক করে নিবেন।আর হ্যাঁ বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও ভিসা দ্বারা শুধুমাত্র ইজরায়েল রাষ্ট্রের যাওয়া যায় না।আর অন্যান্য দেশে যাওয়া যায়।



নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال