ডিজিটাল মার্কেটিং কী। Digital Marketing

বর্তমান আধুনিক ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানা জরুরী। 


Digital marketing


আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানাবো।আপনার ব্যবসায়ে যদি ভালো ইনকাম জেনারেট করতে চান অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে।তাই আজ আপনাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানাবো।কথা না বড়িয়ে চলুন জেনে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে এবং এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কী 

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আপনার পণ্য বা সেবা প্রচারণা করতে পারবেন।

আপনি বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে আপনার সেবা পণ্যকে প্রচার করতে পারবেন।এটা হোক সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে,হোক ইমেইল এর মাধ্যমে। অথবা ইন্টারনেট, রেডিও,টেলিভিশন, ইত্যাদি। 

ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও আপনি আপনার পণ্য বা সেবা আপনি প্রচার করতে পারবেন।পেইড বা এসইও করে আপনার প্রচারণায় অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি মাধ্যমে আপনার পণ্য অথবা সেবা যাই হোক প্রচার করতে পারবেন।এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং কী।এবার আসুন জেনে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিস্তারিত আলোচনা সম্পর্কে। 

কোন কোন উপায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন

ডিজিটাল মার্কেটিং করার অনেক মাধ্যম রয়েছে।আসুন জেনে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্পর্কে। 
  • সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং।
  • সোসিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং। 
  • ইমেইল মার্কেটিং। 
  • বিজ্ঞাপন 
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং। 
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। 

(১) সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) 

SEO করে আপনার সেবা বা পণ্যের প্রচার করতে পারবেন।কিভাবে করবেন বুঝিয়ে দিচ্ছি।আপনি আপনার প্রোডাক্টের বা সেবার এমন কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন যে কিওয়ার্ডগুলো লোকেরা বা ব্যবহারকারীরা সার্চ করে থাকে।এতে আপনার ট্রাফিকের পরিমান বাড়বে,এবং ট্রাফিক বেশি আসাতে ইনকাম বেশি আসতে পারে।

আপনার কিওয়ার্ড এর সঠিক টাইটেল,ম্যাটা ট্যাগ,শিরোনাম পিকচার ইত্যাদি ব্যবহার করুন যাতে আপনার প্রোডাক্টটি লোকেরা সার্চ করে পায়।আর এসইও এর ক্ষেত্রে সঠিকভাবে করলে আপনার পোস্ট র‍্যাংকিং করবে এতে করে অর্গানিক ট্রাফিক আসতে শুরু করবে।

ব্যাকলিঙ্গ তৈরি করুন।যাতে অন্যান্য ওয়েবসাইটের থেকে আপনার ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টের রিভিউ দেখে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে।এতে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার হয়ে যায়।

(২) কন্টেন্ট মার্কেটিং 

কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি পণ্য বা সেবার প্রচার সহজ উপায়ে করতে পারেন।আপনার ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে লিখে ও প্রোডাক্টের সম্পর্কে আর্টিকেল প্রকাশ এবং প্রোডাক্টের ইমেজ ব্যবহার করে পাবলিশ করতে পারেন।অবশ্যই SEO অনুযায়ী পোস্ট করবেন যাতে।র‍্যাংকিং পায় গুগলে। 
সঠিক হেডার,ম্যাটা ট্যাগ,টাইটল,ডেসক্রিপশন ইত্যাদি বিষয় সঠিকভাবে দিয়ে পোস্ট করলে র‍্যাংকিং হবেই হবে।তাই আপনি কন্টেন্ট লিখেও ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। 

(৩) সোসিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং 

সোসিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং এ আপনি সোসিয়াল মিডিয়া পেজ বা প্রোফাইল তৈরী করে নিয়ে আপনার সেবা বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ ও পোস্ট করে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষকে অবগত করতে পারেন।

(৪) ইমেইল মার্কেটিং 

আপনার পণ্য বা সেবার তথ্য দিয়ে আপনি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন।যাতে আপনার দেওয়া মেইল থেকে আপনার প্রোডাক্টের প্রতি আকর্ষিত হয়।

আপনার প্রোডাক্টের একটি আকর্ষণীয় টাইটেল বা হেডার দিবেন।যেটা মানুষের কাছে আকর্ষণ মনে হলে ক্লিক করে আপনার পণ্য বা সেবা দেখতে পারে এবং আয় বাড়তে পারে।

(৫) বিজ্ঞাপন

আপনার প্রোডাক্টের বা সেবার এডস মানুষকে দেখাতে পারে।বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্টের এডস ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারে।এমনকি আপনি পেইড এডভার্টাইজিং করাতে পারে।

(৬) এফিলিয়েট মার্কেটিং 

আপনি আপনার পণ্যের বা সেবার সম্পর্কে এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম খোলতে পারেন।যেমন আপনার পণ্যের লিংক যাতে অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে। এতে আপনার হয়ে সাহায্যকারীরা ট্রাফিক আনতে ও বিক্রির সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করবে।

(৭) ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং 

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা কি না কোনো পণ্য বা সেবা প্রচার করার জন্য সোসিয়াল মিডিয়ার বিখ্যাত ব্যক্তি অথবা মতামত দেয় তাদেরকে দিয়ে পণ্য বা সেবা প্রচার করানো হয়ে।

ইনফ্লুয়েন্সার হতে পারে
ইউটিউবার,ব্লগার,ইন্সট্রাগ্রামা,ফেসবুকার ইত্যাদি অন্যান্য প্লাটফর্মে বিখ্যাত যাদের শ্রোতা বেশি।তদেরকে দিয়ে এডস শো করানোর মানে হলো যে তাদের এই বিখ্যাত ব্যক্তির দ্বারা এই পণ্য বা সেবা রিভিউ তাহলে পাবলিকরা এটা বিশ্বাস করবে।

এই ইনফ্লুয়েন্সারের প্রধান উদ্দ্যেশ হলো যে তার ইনফ্লুয়েন্সারদের আস্থা বা বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে পণ্য বা সেবার প্রচার হয়,এবং ব্রান্ডের আগ্রহ এ কেনার আগ্রহ বাড়ে।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন কতদিনে তা নির্ভর করে কাজের, দক্ষতার ও অভিজ্ঞতার উপর। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে গেলে আপনাকে মিনিমাম ৩-৬ মাস সময় লাগতে পারে। তবে ব্যক্তি হিসেবে কিছু কম সময় লাগতে পারে।কারণ কিছু কিছু লোকের কোনো বিষয়ের জ্ঞান খুব কম থাকতে পারে।তবে যারা মিডিয়াম রয়েছেন তারা ইন্টারনেট সার্চ করলে অনেক কিছু জানতে পারবে। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে চ্যাট জিপিটি সাহায্য করতে পারে।

এআই এর যুগে আপনি রোবটকে যা জিজ্ঞাসা করবেন তার উত্তর আপনাকে দেওয়ার চেষ্টা করবে।তবে রোবটস কিছু কিছু সময় ভুলও করতে পারে।তবে খুব কম ভুল।

গুগলে গিয়ে এই সম্পর্কে আপনি সার্চ করলে অনেক ওয়েবসাইট আসবে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ১০ -১২ টি ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখবেন।আপনার একটি ধারণা তৈরী হয়ে যাবে।

শেষ কথায়

এইভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।তবে আমার কাজ হচ্ছে আপনাদেরকে শিখিয়ে উৎসাহিত করা।আপনারা শুধুমাত্র এসব নিয়ম ফলো করে কাজ করবেন।

বাকিটা নির্ভর করে আপনাদের উপরে।আপনারা কিভাবে করবেন এটা বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন আপনাদের কাজ হবে সেই অনুযায়ী কাজ করা।

আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে।এবং এটাও আশা করি আমার পোস্টটি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের বোঝানোর জন্যই টিউটোরিয়াল দেয়া যাতে সহজে বুঝতে পারেন।সহজ ভাষায় বুঝানোর চেষ্টা করি।

আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই।অন্য আরেকটি পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। ততক্ষণে সুস্থ থাকুন। আসসালামু আলাইকুম। 
নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال