ফেসবুক কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি। Facebook Content monetization policies.

ফেসবুক পেজ/প্রোফাইল মনিটাইজেশন করতে নীতিগুলো জেনে রাখুন।


Facebook content monetization policies


আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আগের পোস্টে দেখিয়েছিলাম কিভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়।আজ আপনাদেরকে আরেকটি পোস্ট দিতে যাচ্ছি ফেসবুক কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে। 

যদি আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান অবশ্যই আপনাকে কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে জানতে হবে।আসুন জেনে নেই ফেসবুকের কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি কী।

কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি কি

যেহেতু ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে হয়।তাই কন্টেন্টও ভিডিওই হবে।ফেসবুকের কন্টেন্টই হলো ভিডিও তাই কন্টেন্ট পলিসি হবে ভিডিও সম্পর্কে। 

কন্টেন্ট পলিসি হচ্ছে ভিডিওটি ইউনিক হওয়া উচিত।কপিরাইট যেন না থাকে।অরিজিনাল ভিডিও হবে।মূলত এগুলোই হচ্ছে ফেসবুকের কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি। অঅর্থাৎ ভিডিও কন্টেন্টকে মনিটাইজেশন করতে গেলে অবশ্যই পলিসি মেনে চলতে হবে।

ফেসবুকের এই কন্টেন্ট এর যোগ্যতা আছে কি না সেটা যাচাই-বাছাই করে মনিটাইজেশন দেওয়া হয়,এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরিরা ইনকাম ইনকাম করে থাকে।

কপিরাইট কন্টেন্ট মালিকানা বিবেচনা করার পরে মনিটাইজেশন পাওয়া যায়।তাদের দর্শকদের কিভাবে খুশি করবে কোন কন্টেন্ট কেমন হবে এটা ফেসবুক কোম্পানি নির্ধারণ করে দিবে এবং ইনকাম করার সুযোগ দিয়ে থাকে।আর এগুলোই হলো কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি। 

ফেসবুক কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি কি কি

যেই ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চায় তাদেরকে অবশ্যই ফেসবুকের নিয়ম নীতি সম্পর্কে জানতে হবে।কারণ না জেনে যদি আপনি শুধু ভিডিও আপলোড করেই যান তাহলে কোনো না কোনো সমস্যা হতে পারে।

তাই সকলের ফেসবুকের কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে জানাটা জরুরি। কারণ আপনার ভিডিওতে পলিসি আসতে পারে যদি সঠিক জ্ঞান না থাকে।আসুন জেনে নেই কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসিগুলো কী কী।

যোগ্যতা

আপনার ভিডিওটি মনিটাইজেশনের জন্য যোগ্য হতে হবে।কিছু সংখ্যক ফলোয়ার লাগে যোগ্যতা পেতে হলে।নিয়মিত পোস্ট করা।ভিডিওর দৈর্ঘ্য কতটুকু এগুলোই হচ্ছে যোগ্যতা

এডস নীতি :

ফেসবুকের বিজ্ঞাপন নীতি মেনে চলাটাও জরুরি বিষয়।আপনার ভিডিওতে কেমন এডস দেখাবে সেগুলো বিবেচনা করতে হবে।

কপিরাইট নীতি :

ফেসবুক কোম্পানি সবচেয়ে বেশি কপিরাইট নীতি মেনে চলার নির্দেশ দেয়।যদি মালিকানা আছে এমন কন্টেন্ট ফেসবুকে আপলোড করার জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ফেসবুকের কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের।

অডিয়েন্স Engagement

ফেসবুক কোম্পানি চায় যে ক্রিয়েটররা যেন তাদের ভিউয়ারদের সাথে সম্পর্কে ভালো থাকুক।এই নীতিটি ফেসবুক কঠোরভাবে মানার জন্য আমন্ত্রিত করে।

এছাড়াও আরো অতিরিক্ত কিছু পলিসি রয়েছে।আপনাকে নিশ্চই নিজস্ব ভিডিও পোস্ট করতে হবে।পেমেন্ট সেটআপ করে নিতে হবে।ফেসবুক $100 হলেই ব্যাংকে জমা করে দেয়।দুটি সিস্টেমে ফেসবুক তাদের একটি হচ্ছে পেপাল আর অন্যটি হচ্ছে ব্যাংক ট্রান্সফার। 

প্রতি মাসের ২১ তারিখে ফেসবুক থেকে পেমেন্ট দিয়ে থাকে।তবে যদি কপি করে দিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইডিটিং শিখতে হবে।আর এটাও পারেন যে শুধুমাত্র ভয়েজওভার করে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে পারেন।লাইভ করতে হবে মাসে একবার হলেও।আর এগুলো মেনে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

ফেসবুক থেকে পলিসি ইস্যু রিমুভ

পলিসি রিমুভ বলতে বুঝায় ক্রিয়েটররা তাদের পেজ প্রোফাইল,গ্রুপ,কন্টেন্ট সম্পর্কের পলিসি ইস্যু রিমুভ করার প্রক্রিয়া। এটি ফেসবুকের সাপোর্ট সেন্টারে।

ফেসবুকের পলিসি ইস্যু রিমুভ করার জন্য ফেসবুক সুযোগ দিয়ে থাকে।তাদের হেল্প সেন্টারে যোগাযোগ করলে তারা সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।

তবে ফেসবুকে সরাসরি কোনো পলিসির সমস্যার সমাধান না থাকলেও সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

ফেসবুক প্রথমে কন্টেন্টের কোনো কারণ দেখায়।হতে পারে কপিরাইট লঙ্ঘন, হিংসাত্মক ইত্যাদি। আর যদি ক্রিয়েটর মনে করে যা তাদের কন্টেন্ট ভুলবশত অপসারণ করেছে তাহলে হেল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারবেন। 

আর রিপোর্ট রিভিউ করে তারা সিদ্ধান্ত নিবে যে এটা কিভাবে কি করা উচিত।আর এটা তারা ইমেল বা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।আর এইভাবেই পলিসি ইস্যু রিমুভ করা হয়।

উপসংহার 

সুতরাং যদি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি মেনে চলা জরুরী। আশা করি কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি কি তা আন্দাজ করতে পারলেন।

সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করলে মনিটাইজেশন অন করতে পারবেন।ভিডিও ইউনিক করা জরুরি। কপিরাইট লঙ্ঘন মেনে চলা উচিত।

আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই।পরে একটি পোস্ট নিয়ে আসবো আপনাদের জন্য।ততক্ষণে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।আল্লাহ হাফেজ।
নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال