ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে পাবেন।How to get a Duel Currency Card

কিভাবে হাতে পাবেন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। 


get in duel currency card


আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।তো আজকে নিয়ে আসলাম আপনাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট যা আপনাদের মনে জাগে এমন প্রশ্ন। আজকে আমরা কথা বলতে চলেছি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড বিষয়ে,এটি কী, কীভাবে পাবেন,সকল বিষয় আজকের এই পোষ্টে দেওয়া হবে।ধৈর্য ধরে একটু পড়ে নিবেন।

ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সম্পর্কে কমবেশি সবাইই শোনেছি।কিন্তু এটা দিয়ে হবে কী তা অনেকেই জানে আবার অনেকে জানে না।যারা জানেন না তারা পোস্টটি পড়লে উপকৃত হতে পারেন।তো চলুন জেনে নেই আজকের টপিকের বিষয়ে।

আগে জেনে নেই যে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড বলতে কী বুঝায়?
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হচ্ছে এমন একটি কার্ড যা দিয়ে আপনি দ্বৈত দেশের সাথে লেনদেন করতে পারবেন।মূলত আন্তর্জাতিক পেমেন্ট এর জন্য এই কার্ড ব্যবহার করা হয়।যেমন আপনি বাংলাদেশে থাকেন এখন একটি প্রোডাক্ট ক্রয় করতে চাচ্ছেন যেটি আমাজন.কম বা আলীবাবা.কম থেকে মোটকথা বাইরের কান্ট্রি থেকে কিনতে চাচ্ছেন,এখন আপনি আপনার এই কাঙ্খিত প্রোডাক্টটি কিভাবে কিনবেন,তারা তো আর অন্য কোনো উপায়ে পেমেন্ট গ্রহন করে না।তাই ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের প্রয়োজন হয়।আপনার কাঙ্খিত সেই প্রোডাক্টটি আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে আপনার কাঙ্খিত প্রোডাক্টটি হাতে পেতে পারেন।আপনার প্রোডাক্টের মূল্য যত হবে আপনি সেই মূল্য অনুযায়ী আপনি আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ডলার রেটে বাংলাদেশের টাকায় যত হয় তত টাকা ঢুকিয়ে নিবেন।তাহলেই হয়ে যাবে।এখন বুঝতে পারলেন যে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কী।

ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের ইতিহাস।

ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হচ্ছে একটি নতুন প্রযুক্তির।তাই এর আবিষ্কার সম্পর্কে কেউ জানে না। বেশি দিন হয় নি এই কার্ডের বয়স।ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের আবিষ্কার আনুমানিক ২-৪ বছর আগে হতে পারে।তবে বাংলাদেশে এই কার্ডটি অনেক পরে আসে।

কিভাবে পাবেন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড।

আসলে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিচ্ছে বাংলাদেশের কিছু ব্যাংক। এই কার্ডটি মূলত কিছুটা ATM (Automated Teller Machine) কার্ডের মতো বা ডেবিট বা ভিসা কার্ডের মতো।এই কার্ডটি আপনি যদি হাতে পেতে চান তাহলে আপনার কাছে থাকা কোনো সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।তবে কিছু কিছু ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রোভাইড করে না।আপনার কিছু ব্যাক্তিগত তথ্য ব্যাংকে দিয়ে আপনি খুব সহজে সহজ নিয়মে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে পারেন।

ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে কী কী কাগজ পত্র লাগতে পারে 
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে আপনি কিছু ব্যক্তিগত কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে।যেমন

  • ব্যাংক থেকে একটি ফরম পূরণ করতে দিবে সেটি আপনি স্পষ্ট ও ভালোভাবে দেখে সব ঠিক রেখে NID কার্ড অনুসারে পূরণ করতে।
  • ঠিকানার প্রমাণপত্র চাইতে পারে।যেমন (বিদ্যুৎ বিল,গ্যাস বিল,ট্যাক্সের কাগজ ইত্যাদি)।
  • আত্নীস্বজনদের তথ্য (যদি প্রয়োজন পরে তাহলে দিতে হতে পারে)
  • লেনদেন স্লিল ব্যাংকের বা চাকরির বেতন স্লিপ লাগতে পারে।
  • আপনার পাসপোর্ট লাগতে পারে।
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের চার কপি ছবি।
উল্লেখিত এইসব তথ্য দিয়ে ব্যাংককে সহযোগিতা করুন।তবে আপনার যদি মনে করুন আপনার পাসপোর্ট নেই তো এখন কিভাবে কার্ডটি পাবেন, তাহলে আপনি এক কাজ করতে পারেন সেটি হচ্ছে আপনার কোনো আত্নীয়স্বজন থাকলে তাদের পাসপোর্ট দিয়ে করলেই হবে এতে কোনো সমস্যা হবে না,আপনি লেনদেন করতে পারবেন।

ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা ও

 অসুবিধা।

ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা ও কিছু অসুবিধা রয়েছে।

সুবিধা :

  • এই কার্ডে আপনি বাইরের অনেক দেশ থেকে লেনদেন করতে পারবেন।
  • যেহেতু এটি একটি দ্বৈত দেশের বা একাধিক দেশের সাথে লেনদেন করা যায় সেহেতু এই কার্ডটি সবার জন্য উপযোগী।
  • অনেক সময় একই কার্ডের বিভিন্ন দেশের একই হারে টাকা কেটে নেয়।

অসুবিধা :

  • অনেক সময় অনেক দেশের থেকে এই কার্ডে অতিরিক্ত ফী চার্জ দিতে হয়।
  • কিছু কার্ডে স্বাধীনভাবে পরিমানের টাকা পে করার সীমাবদ্ধতা থাকে।
  • কিছু কিছু দেশের এই কার্ডের গ্রহনযোগ্যতা নেই ফলে লেনদেন করা যায় না।

ফেসবুক ও ইউটিউবের বুস্ট বা

 যেকোনো সার্ভিসে 

ডুয়েল কারেন্সি

 কার্ড। 

যেহেতু ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম এর জন্য তৈরী করা তাই এটি দিয়ে আপনি কেনাকাট সহ ফেসবুক ও ইউটিউবের জন্যও ব্যবহার করতে পারবন।যেমন আপনি চাইলে আপনার কোনো পোস্টকে বুস্ট করতে চাচ্চেন তা এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে করতে পারবেন।অথবা মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক পেজ আছে সেই পেজটি যদি প্রমোট করতে চান তাহলে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট দিয়ে আপনি ফেসবুক পেজের প্রমোট করাতে পারবেন।অন্যদিকে যদি আপনি ইউটিউবেও সেম কাজ করতে পারেন।যদি চান আপনি যে ইউটিউবের ভিডিও অনেক লোকের কাছে যাবে তাহলে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে তা করতে পারবেন।

কোন কোন ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি

 কার্ডদিয়ে থাকে।

ডুয়েল কারেন্সি কার্ড বাংলাদেশের কিছু প্রধান ব্যাংক তাদের গ্রাহককে দিয়ে থাকে কিছু তথ্যের মাধ্যমে।
  • ইসলামী ব্যাংক 
  • সোনালী ব্যাং
  • ব্রাকব্যাংক
  • ইস্টার্ন ব্যাংক 
  • ইউনাটেড ব্যাংক
  • ব্যাংক এশিয়া
  • পূবালী ব্যাংক
  • মার্কেন্টাইল ব্যাংক
ইত্যাদি আরো অনেক ব্যাংক আছে যারা তাদের গ্রাহককে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রোভাউড করে থাকে।তবে বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক এখন পর্যন্ত ডোয়েল কারেন্সি কার্ডের সিস্টেম চালু করেনি।চালু করলে অবশ্যই পাবেন। তবে আমি সাজেস্ট করি ইসলামী ব্যাংক থেকে নিলে ভালো হয়,তাদের সার্ভিস ভালো।

উপায় এপস থেকেও ডুয়েল কারেন্সি
কার্ড পেতে পারেন। 

আপনারা হয়তোবা অনেকে জানেন না যে Upay এপস থেকেও আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।যেহেতু এটিও একটি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।উপায় এপস এ আপনি NID কার্ড দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করলে পরে দেখতে পারেন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড লেখা আছে ঐখানে গিয়ে আপনার সকল তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করলে আপনি মিনিমাম ১০-১৫ দিনের মধ্যে কার্ডটি পেয়ে যাবেন।তবে অনেক সময় আরো কম সময়ও লাগতে পারে।

উপসংহারে 

আশা করি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সম্পর্কে সবকিছু জেনে গেছেন।এবার আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের আবেদন করতে পারেন।কিভাবে পাবেন এটিও জানতে পারলেন।তবে একটা বিষয় আপনার যদি পাসপোর্ট না থাকে তাহলে আপনি অন্য কারো পরিচিত কারো কাছ থেকে পাসপোর্ট নিতে পারেন।তার নামেই কার্ড হবে।তবে অনেক ব্যাংকে পাসপোর্ট লাগে না।এটি আপনি দেখতে পারেন কিছু ব্যাংকে গিয়ে।
আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।সবার দিন সবসময় ভালো যাক।
আসসালামু আলাইকুম। 






নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال