ই-টিন সার্টিফিকেট কি / What is e-TIN Certificate.

 ই-টিন সার্টিফিকেট কী এবং কিভাবে এটি পাবেন আরো -অন্যান্য ই-টিন সম্পর্কে জানুন।


E-TIN certificate ki


আসসালামু আলাইকুম আশা করি
 আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ পোস্ট নিয়ে আসলাম যেটা ই-টিন সার্টিফিকেট সম্পর্কে (E-TIN Certificate). তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট এটা,কারণ আপনি ফেসবুক, ইউটিউব, অথবা অন্যান্য প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার এইসব কাগজ অবশ্যই লাগবে।আর তা এখন আপনি ঘরে বসে অনলাইনে মাত্র ৫ মিনিটে তৈরী করতে পারেন।এখন আর পৌরসভায় গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ই-টিন সার্টিফিকেটের জন্য কষ্ট করতে হয় না।তাই বাংলাদেশ সরকার এখন অনলাইনে ই-টিন সার্টিফিকেট তৈরী করার প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছে।যে কেউ তাদের অফিসিয়াল সাইটে গিয়ে ই-টিন সার্টিফ?কেট তৈরী করে নিতে পারেন।তো মনোযোগ দিয়ে আজকের পোস্টটি পড়বেন।সম্পুর্ন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে দিলাম আপনাদের দরকার হবে তাই।মিস করবেন না পুরো পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইল তাই আসুন জেনে নেই ই-টিন সার্টিফিকেট এর সকল কিছু।

ই-টিন সার্টিফিকেট (e-TIN Certificate) কী 

e-TIN Certificate - হচ্ছে ইলেকট্রনিক ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার যা বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড (NBR) - থেকে প্রদান করে থাকে।  এটি মূলত করদাতার কর-সংক্রান্ত সকল তথ্যের বা বিষয়ের একটি নিবন্ধন হচ্ছে এই ই-টিন সার্টিফিকেট। করদাতাদের কর সহজভাবে জমা দেওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে e-TIN নাম্বার দিয়ে থাকে বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড (NBR) ই-টিন নাম্বারটি করদাতাদের সকল তথ্যের বা বিষয়ের এই ই - টিন নম্বরটি যুক্ত থাকে।  

ই-টিন সার্টিফিকেট কিভাবে ডাউনলোড করবেন 

ই-টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড দেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে গুগলে গিয়ে সার্চ করতে হবে যে e-TIN Certificate আপনাদের সুবিধার জন্য লিংক দিয়ে দেবো।
(১) ই-টিন৷ সার্টিফিকেট বের করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে NBR মানে বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে,তারপরে রেজিস্ট্রার বাটনে ক্লিক করতে হবে।

(২) এখন আপনার কাজ হবে - (ক) প্রথমে ইউজার নেম দিবেন আপনার (খ) স্ট্রং একটি পাসওয়ার্ড দিবেন 8 ক্যারেক্টারের ভিতরে।(গ) রি-টাইপ পাসওয়ার্ড (ঘ)সিকিউরিটি প্রশ্ন ও উত্তর সিলেক্ট করবেন। (ঙ) একটিভ আছে এমন একটি মোবাইল নম্বর দিবেন। (চ) আপনার একটি বৈধ ইমেইল এড্রেস দিবেন।  (ছ) তারপরে নিছে একটি ক্যাপচা আসবে সেই ক্যাপচাটা লিখে দিবেন।তারপরে রেজিস্ট্রার বাটনে ক্লিক করে এগিয়ে যাবেন।আপনার এসব তথ্য মনে রাখবেন বা কোনো জায়াগায় লিখে রাখবেন কারণ আপনার কর অঞ্চল অথবা ঠিকানা পরিবর্তন করতে কাজে লাগবে।মোবাইল নাম্বারে একটি কোড যাবে ভেরিভাই করার জন্য সেই কোডটি বক্সে দিয়ে ভেরিফাই ক্লিক করুন যাতে নাম্বার যাচাই করা হয়।

(৩) একাউন্ট রেজিস্ট্রার করার পরে - ড্যাশবোর্ডের বাম দিকে ত্রি ডট মেনু থেকে Tin Application এ ক্লিক করুন তারপরে (ক) করদাতার ধরন নির্বাচন করুন (individual/Bangladesh) (খ) Individual-Bangladesh-Having NID সিলেক্ট করুন। (গ) তারপরে আপনার আয়ের উৎস নির্বাচন করুন।  (ঘ) আপনার স্থান নির্বাচন করুন। (ঙ) তারপরে Go to the next বাটনে ক্লিক করুন।

(৪) আপনার পারসোনাল ইনফরমেশন ও এড্রেস - ইংরেজি অক্ষরে আপনার তথ্যগুলো পূরণ করবেন ও এনআইডি কার্ড অনুযায়ী। 
(ক) করদাতার নাম (খ) করদাতার জেন্ডার (ছেলে/মেয়ে) (গ) NID নাম্বার।  (ঘ) Date of Birth (ঙ) পিতা-মাতার নাম/স্বামীর নাম। (চ) মোবাইল নাম্বার।  (ছ) ইমেইল ঠিকানা। (জ) তারপরে একটু নিচের অংশে আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকান লিখুন ( ইংরেজিতে) তারপরে Go to the next বাটনে ক্লিক করুন।

(৫) তারপরে অন্য একটি পেজে আপনাকে নিয়ে যাবে।এখানে আপনার সকল তথ্য দেখাবে,তারপরে আপনাকে নিচের দিকে দেখবেন যে টিকমার্ক করার জন্য একটি ছোট বক্স থাকবে সেখানে টিক দিয়ে দিবেন।তারপরে আপনাকে সাবমিট এপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে।তারপরে আপনাকে সেভ করতে বলা হবে আপনি সেভ করে নিবেন এবং পরে এটি পিডিএফ ডাউনলোড করার কথা বলবে আপনি এটি ডাউনলোড করে নিবেন।
মূলত এইভাবেই টিন সার্টিফিকেট তৈরী করে ডাউনলোড করবেন।

ই-টিন সার্টিফিকেট থাকলেই কী কর দিতে হবে

আপনার e-Tin Certificate থাকলেই যে কর দিতে হবে বিষয়টি এমন না।ই-টিন রেজিস্ট্রার করার মানে হলো যে আপনি করদাতার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন।তার মানে এই নয় যে আপনাকে কর দিতেই হবে।না বিষয়টি এমন না,মূলত কর আসে আপনার আয়ের উপর নির্ভর করে।আপনি তো আয় করছেন না।আয়ের পরিমান যদি আপনার ৩-৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে এই ৩-৪ লক্ষ টাকার ভিতরে কর ধার্য্য করা হবে এবং সেটা আপনাকে দিতে হবে।তবে বেশি পরিমান কর আসবে না।কর দিতে হবে আপনাকে আয়কর আইন অনুযায়ী। 

W-BEN টিন সার্টিফিকেট 

ইনকাম করার ক্ষেত্রে/অনলাইনের আয় করার মাধ্যমেও এটি টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন পড়ে।এটি বা এই টিন সার্টিফিকেট থাকার মানে হলো যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের দেশের লোক এবং আমেরিকার সোর্স থেকে ইনকাম করছেন এবং আপনার বাংলাদেশে কর দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে এই জন্য এই সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।মোটকথা হচ্ছে আপনি বুঝাতে চাচ্ছেন যে আপনি আমেরিকার কর বাসিন্দা নন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোনো দেশে আপনার কর দায়িত্ব রয়েছে।

👉পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন ক্লিক করুন..

উপসংহারে 

আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে।এবং টিন সম্পর্কে আরো পোস্ট নিয়ে আসবো। আশা করি সবাইই বুঝতে পেরেছেন যে ই-টিন সার্টিফিকেট সম্পর্কে।বছরের নির্দেশ তারিখে কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে আপনাকে অর্থাৎ জিরো রিটার্ন দাখিল করতে হবে।রিটার্ন দাখিল সম্পর্কে আরেকটি পোস্ট আসবে।অপেক্ষায় থাকেন।খুব শিঘ্রই পেয়ে যাবেন।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।আসসালামু আলাইকুম। 

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال