শারীরিক সুরক্ষায় এন্টি অক্সিডেন্টের প্রয়োজন।
আজ আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম নতুন একটি পোস্ট "এন্টি অক্সিডেন্ট " সম্পর্কে। চলুন আসল বিষয়ে জেনে নেই।এর বিস্তারিত সম্পর্কে আলোচনা করে দিলাম।
এন্টি অক্সিডেন্ট কি
এন্টি অক্সিডেন্ট হচ্ছে একধরনের যৌগ,যা শরীরের একটি উপাদান।যা শরীরের কোষগুলোকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
এন্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।যেমন-ভিটামিন সি,ভিটামিন ই এবং বিটা ক্যারোটিন ইত্যদি।
এসব ভিটামিন পাওয়া বেশিরভাগ ফলমূল,শাকসবজি, অথবা বীজজাতীয় খাবার গুলো থেকে।
এন্টি অক্সিডেন্ট ক্রনিক রোগ থেকে বাঁচায় যেমন - হৃদরোগ,ডায়বেটিস, এবং কিছু প্রকারের ক্যান্সার এর হাত থেকে এন্টি অক্সিডেন্ট খুব কার্যকরী উপাদান।
এছাড়াও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে এই এন্টি অক্সিডেন্ট। শরীরের বার্ধক্য দূরীকরণ করতে এন্টি অক্সিডেন্ট এর কোনো বিকল্প নেই।
এত কিছু উপকারীতা থাকা সত্বেও বিজ্ঞানীরা এর আরো গুনাগুন বের করার চেষ্টায় আছে।কারণ বিজ্ঞানীরা আনুমানিক ধরেন যে এন্টি অক্সিডেন্ট এ আরো কিছু উপকারীতা পাওয়া যেতে পারে।তাই বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
তাই প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন গ্রহণ করা উচিত যাতে শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যায়।
এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা
আসুন জেনে নেই আসলে এন্টি অক্সিডেন্ট এর ভরপুর কিছু খাবারের তালিকা :
- স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি,রাস্পবেরি,ব্ল্যাকবেরি এসব খাবারের মধ্যে এন্টি অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ প্রচুর।
- এলমন্ড,ওয়ালনাট,পেকানে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।
- বিভিন্ন ধরনের ডার্ক চকোলেটের মধ্যে এন্টি অক্সিডেন্ট এর উপস্থিত রয়েছে।
- বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সবজিতে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেমন - পালংশাক, ব্রোকলি ইত্যাদি।
- টমেটো, এটি একটি লাইকোপেনের উৎস। যা এন্টি অক্সিডেন্ট এর উৎস।
- গাজরে বিটা ক্যারোটিন এর সমৃদ্ধ যা এন্টি অক্সিডেন্ট এর উৎস।
- গ্রীন টিতে এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।
- লাল আঙ্গুরে এন্টি অক্সিডেন্ট এর প্রচুর পরিমাণ উপস্থিত রয়েছে।
- আদা ও হলুদ দুটি মসলা জাতীয়, এসব মসলায় ইনফ্লামেটরি ও এন্টি অক্সিডেন্ট প্রচুর রয়েছে।
এন্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ
এর মূল কাজ হচ্ছে শরীরের কোষগুলির ক্ষয়রোধ করা।
শরীরের কিছু ক্ষতি ফ্রি র্যাডিক্যাল অস্থির নামক দ্বারা ক্ষতি হয়ে থাকে।আর এসবের সাথে লড়াই করে শরীরের কোষগুলোকে সুস্থ রাখা এন্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ।
ফ্রি র্যাডিক্যালের সাথে এন্টি অক্সিডেন্ট প্রতিক্রিয়া করে অক্ষম করে দেয়।ফলে শারীরিক কোষগুলো সুস্থ থাকতে পারে।
কোষের মেমব্রেন, প্রোটিন ও ডিএনএ ফ্রি র্যাডিক্যালের মতো অক্ষম করতে সহায়ক এন্টি অক্সিডেন্ট। অর্থাৎ ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে থাকে।
এন্টি অক্সিডেন্ট এর কার্যকলাপে দেহের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে শরীরে আক্রমণ করে কম।কিছু কিছু ক্যান্সার,হার্ট এটাক,ইত্যাদি রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে এন্টি অক্সিডেন্ট খুবই সহায়ক।
ইমিউন সিস্টেমের ফলে দেহের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।যা এন্টি অক্সিডেন্ট এর মাধ্যমে করে থাকে।
আর এগুলোই হচ্ছে এন্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ।আসে এন্টি অক্সিডেন্ট মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।
সুতরাং এন্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ সম্পর্কে বুঝতে পারলেন।
উপসংহার
আশা করি পোস্ট বুঝলেন।এন্টি অক্সিজেন হচ্ছে দেহের কোষের ক্ষতির থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।মানবের উচিত তিনবেলা খাবারে এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত।
যাতে শরীরের কোষগুলো সুস্থ থাকতে পারে। শরীর সুস্থ তো মনও সুস্থ। তাই শরীর সুস্থ রাখবে নিয়মিত খাবার গ্রহন করা উচিত।যাতে শারীরিক কোনো ক্ষতি না হয়।
এন্টি অক্সিডেন্ট এর কার্যকারিতাও অনেক আছে।ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা এর আরো উপকারীতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করবেন।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এন্টি অক্সিডেন্ট এ আরো উপকারীতা থাকতে পারে।তাই তারা এই এন্টি অক্সিডেন্ট নিয়ে এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
সুতরাং এন্টি অক্সিডেন্ট হচ্ছে মানব শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।যা শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Tags
হেলথ টিপস