আটটি পানীয় খাবার যা
শারীরিক উপকারিতা পাওয়া
যায়।
উপকারী পানীয় কি
যেসব খাবার বা পানীয় শরীরের উপকারে আসে বা শারীরিক উন্নতি ঘটে সেসব খাবার হচ্ছে উপকারী পানীয়।
মানে এগুলো হচ্ছে পানীয় খাবার বা তরল খাবার। আর তরল খাবার কি নিশ্চয়ই সবাই জানেন।এসব তরল খাবারের মধ্যে রয়েছে - দুধ,লেবুর রস,এলোভেরার রস ইত্যাদি। এসব পানীয় খাবার খাওয়ার ফলে শারীরিক অনেক উন্নতি হয়। সুতরাং আশা করি বুঝতে পেরেছেন উপকারী পানীয় কি।
উপকারী পানীয় কি কি এবং তার ব্যাখ্যা
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী দশটি খাবার তালিকা নিয়ে নিচে ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো।কষ্ট করে পড়ে নিবেন যাতে উপকার পেতে পারেন।চলুন জেনে নেই ১০ টি কি কি পানীয় খাবার আছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
১) লেবুর রস :
লেবুর রস স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী একটি পানীয় খাবার।
লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে।আর ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহনের ফলে শরীরের ত্বক সুন্দর থাকে।লেবুর রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
লেবুর রস হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।
লেবুর রস পান করলে ওজন কমে যায়।প্রতিদিন খাওয়া শরীরের জন্য ভালো একটি ফলাফল বয়ে আনে।
মানুষের অনেক কিডনিতে পাথর জন্ম নেয়।ঐসব ব্যক্তিরা যদি প্রতিদিন লেবুর রস পান করে আশা করি ফলাফল পেতে পারেন।লেবুর পানি পান করলে লিভারের সমস্যা থাকলে তা ভালো হয়ে যাবে, যদি রেগুলার খাওয়া হয়।
যারা চায় যে তাদের শরীরের ত্বক সুন্দর রাখতে তারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস লেবুর রস এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন উপকার পাবেন।
২) পানি :
পানি (Water) এমন একটি উপাদান বা পানীয় খাদ্য যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিদিনের একটি খাবার খাওয়ার পরে পানি প্রতিদিনই খেতে হয়।পানি এমন এক খাবার যা শরীরের জন্য উপকারী। অসংখ্য উপকারীতা রয়েছে পানির।পানি বেশি পান করা সকল বয়সের জন্য জরুরি। পানি পান করার ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
পানি পান করলে শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের হয়।হজম প্রক্রিয়া উন্নত হতে সাহায্য করে পানি।বেশি পানি পান করলে শরীর মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে।পানি পান করলে শরীর সতেজ ও শক্তি থাকে।ওজন কমে যায়।শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে।পেশি ও শরীরের জয়েন্ট ভালোভাবে কাজ করে।খালি পেটে পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের দেহের পেটে যে গ্যাসের সমস্যা হয়,আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি পেটে গ্যাসের সমস্য হবে না।খাবারের রুচি বাড়বে।কারণ পেট ক্লিয়ার থাকবে সমসময়। তাই পানি পান করা জরুরি। তবে বেশি পান করা উচিত,প্রতিদিন পান করা উচিত,তাহলেই ভালো ফল পাবেন।
৩) এলোভেরার জুস :
এলোভেরার জুস নিশ্চিত অনেকেই শোনে থাকবেন।এলোভেরার জুস সাধারণত এলোভেরা থেকে একধরনের শক্ত তরল বের হয়, আর ঐ শক্ত তরলই মানুষেরা পান করে থাকে।এর অনেক উপকারীতা আছে।প্রতিদিন এলোভেরার জুস বাংলাদেশের অনেকে বিক্রি করে।
এলোভেরা জুস থেকে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
এলোভেরার জুস হজম হওয়ার প্রক্রিয়াকে উন্নত করে থাকে।মানুষের কিডনির পরিষ্কার ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
শরীরের বিষাক্ত পদার্থ টক্সিন বের করে দেয়।এলোভেরা ত্বককে আর্দ্র রাখে,ব্রন সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।এই জুসটি বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে খুব কার্যকরী।
৪) দুধ :
দুধ একটি উচ্চ ভিটামিন সমৃদ্ধ পানীয় খাবার।এটি পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে পরিচিত। দুধের পুষ্টিগুনে সেরা।দুধ ক্যালসিয়াম গুনে ভরপুর। এটি হাড় ও দাঁতের ক্ষয় হওয়া থেকে বাচায়।দুধে হাই প্রোটিন থাকে যা শরীরের পেশি বৃদ্ধি পাবে।দুধে ভিটামিন ডি,ভিটামিন বি২ বি১২ থাকে।
এছাড়াও মিনারেল, ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। দুধ এমন পানীয় যা শরীরের অন্যান্য কার্যক্রম ঠিক রাখতে ও ঠিকমতো করতে সাহায্য করে।দুধে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।দুধে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাত্র সাহায্য করে।প্রতিদিন সকালে দুধ খাওয়া শরীরের জন্য খুব বেশি উপকারী।
৫) ডাবের পানি :
ডাবের পানি কি তা নিশ্চই সবাই জানেন।এই পানীয় খাবারের খুব উপকারীতা আছে।যা একজন মানবদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডাবে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট থাকে,যা শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।ডাবের পানিতে থাকে ম্যাগনেসিয়া,পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ফসসরাস ইত্যাদি। এইসব উপাদান শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ডাবের পানি সাধারণত শরীরের টক্সিন বের করতে পারে।
হজম করতেও এটি খুব কার্যকরী। গ্যাসের সমস্য, এসিডিটি ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে। ডাবের পানি ক্যালােরি কম এবং কম ফ্যাট নেই ফলে ডাবের পানি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। ডাবের পানি অনেক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।ডাবের পানি কিডনির সুরক্ষা রাখতে সহায়তা করে এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়।
০৬) মসলা চা :
মসলা চা বলতে কি বুঝায় অনেকে জানে আবার অনেকে জানে না।মসলা চা হচ্ছে আদা,দারচিনি মিশ্রনে তৈরি চা।
আদা দারচিনি,লবঙ্গ ইত্যাদি মসলাগুলো মিশ্রণে যে চা হয় ঐ চা ই হলো মসলা চা।এর উপকারীতা অনেক।যাদের হজম শক্তি কম তারা এই মসলা চা ট্রাই করতে পারেন।কারণ এই চা হজম প্রক্রিয়া ও হজম করতে খুব কার্যকরী।
মসলা চা এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।রক্ত চলাচলে সাহায্য করে মসলা চা পানের ফলে।কাশি,গলা ব্যথা ইত্যাদি উপশমে সাহায্য করে।এই চা পানে শরীরের জন্য উপকারি একটি উপাদান।
০৭) অরেঞ্জ জুস :
Orange (কমলা) হচ্ছে একটি ফলজাতীয় খাদ্য।তবে এই ফলের রস খাওয়া অনেক উপকারী। কমলার রস হচ্ছে একটি ফলের ভিতরের পানীয় বের করে খাওয়া।ঐ জুস পান করলে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।কমলার রসে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে।
নিয়মিত পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এই জুসে ক্যালরি খুব কম পরিমাণে থাকে। এই জুস ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।কমলার রস কোলেস্টেরল কমাতে খুব কার্যকরী পানীয়। কমলার জুসে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় গঠনে সহায়ক।
কমলার জুসে পটাসিয়াম রয়েছে,যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে নিতে পারে কমলার জুস।
০৮) তরমুজের জুস :
ব্লান্ডারের সাহায্যে এসব ফলের জুস তৈরি করা যায়। এর মধ্যে তরমুজের জুস আরো কার্যকরী পানীয়। গরমে তরমুজের জুস গরমের সময় খুব কাজের যা তৃষ্ণা মেটাতে খুব প্রয়োজনীয়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে তরমুজের জুস।এই জুস শরীরের ক্যান্সার হোমারেজ প্রতিরোধ খুব সহায়ক। সুতরাং তরমুজের জুস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
উপসংহার
আটটি উপকারী পানীয় খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন। নিয়মিত এসব পানীয় পান করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এসব পানীয় শরীরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গরমের সময় কিছু জুস পান করা যেতে পারে।শারীরিক বৃদ্ধি করতে এসব পানীয় খাবার খুব কার্যকরী।
Tags
হেলথ টিপস