ক্ষতিকর খাবার তালিকা

স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এমন ০৯

টি খাবার। 09 food that

harmful for health)


Harmful food


আসসালামু আলাইকুম ব্লগ বাসী,আশা করি সকলেই ভালো আছেন।আজকের বিষয় হচ্ছে যে ক্ষতি হতে পারে স্বাস্থ্যের এমন দশটি খাবার।

এসব খাবার মারাত্বক ক্ষতি করতে পারে আপনার শরীরের জন্য।যেসব খাবার থেকে প্রত্যেক মানুষের বেচে থাকা উচিত বা গ্রহন না করা উচিত।তো চলুন জেনে নেই খাবারগুলো কি কি :

১) চিনিযুক্ত পানীয় বা খাবার :

চিনিযুক্ত খাবার বেশি গ্রহন করা উচিত না।বেশি চিনিযুক্ত খাবার গ্রহনের ফলে ডায়বেটিস হতে পারে।
চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণ করা উচিত নয়।চিনিযুক্ত পানীয় বা খাবারের প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে।এসব খাবারে উচ্চ ক্যালরি থাকার ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়।অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খেলে টাইপ টু ডায়বেটিস রোগ দেখা দেয়।

ট্রাইগ্লিসারিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।কেননা উচ্চ ক্যালরি ও বেশি চিনিযুক্ত খাবারে খুব বেশি ক্ষতি করে।শোনে অবাক হবেন আমাদের দাতে যে পোকা ধরে,সেটি এই বেশি চিনি করে থাকে।কারণ বেশি চিনিযুক্ত খাবার ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিশে এসিড তৈরি করে যার ফলে দাতের ক্ষয় হয়।

অতিরিক্ত ফ্রুকটোজ শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ফ্রুকটোজ হলো এক ধরনের চিনির উপাদানযুক্ত খাবার।যেখানে চিনি অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।অতিরিক্ত চিনি কোষ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধা দেয়।যা বেশি বয়সকালে নানা রকম রোগ জীবানু দেখা দেয়।সুতরাং আরো নানা সমস্যা রয়েছে। সুতরাং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত যেকোনো খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।

২) প্রক্রিয়াজাত মাংস :

এই প্রক্রিয়া কি তা অনেকে জানে না।মূলত প্রক্রিয়াজাত মাংস হচ্ছে মাংসের মধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হয়।যেমন - লবন দেওয়া,প্রিজারভেটিভ ব্যবহার,ধোয়ায় শোকানো,বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে সংরক্ষণ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে মাংসতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর জিনিস মিক্স করে সংরক্ষণ করা হয়।

প্রিজারভেটিভ পদ্ধতিতে চর্বি ধারণ করা হয়।এই পদ্ধতি ব্যবহার করা মাংস যদি খাওয়া তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।যেমন - ক্যান্সার রোগ হয়,এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী রোগ বা ক্ষতি হতে পারব।যা মোটেও ভালো নয় শরীরের জন্য।সুতরাং এসব থেকে দূরে থাকা উচিত।

৩) ট্রান্স ফেট :

ট্রান্স ফেট বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে।যা অনেক ক্ষতিকর খাদ্য।এই খাবারে মূলত শিল্পোন্নত উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়।হাইড্রোজেন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিজ্জ তেলে যোগ করা হয়।এইসব প্রক্রিয়ায় তরল তেলকে সলিড ফ্যাটে রুপান্তর করা হয় ফলে খাদ্যের স্বাদ দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে।এবং খাদ্য বেচে থাকে লং টাইম।এইসব খাবার যখন একজন ব্যক্তি গ্রহণ করে তখন ব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের রোগের সম্মুখীন থাকতে হয়।এসব খাবারের উদাহরণ হচ্ছে বেকারির পণ্য কুকি, কেক,মার্জারিন,ফ্রাইড ফুড ইত্যাদি। 
অতএব এসব খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।

৪) ফ্রাইড ফুডস :

ফ্রাইড ফুডস সাধারণত ভাজা-পোড়া খাবারকে বুঝায়।
এসব খাবার উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা হয়।যার ফলে এসব খাবারে ক্ষতি বেশি।এসব খাবারে ক্যালরির পরিমান থাকে উচ্চ পরিমাণে।এছাড়াও আরো কিছু ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে যেমন - স্যচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট।
এসবের মধ্যে কিছু উদাহরণ হচ্ছে - ফ্রেঞ্চ ফ্রাই,ডোনাট,ভাজা চিকেন ইত্যাদি। এসব খাবার সাধারণত হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।এছাড়াও আরো কিছু রোগ এই খাবার থেকে আসে।যেমন - উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি,ডায়বেটিস ইত্যাদি। সুতরাং এসব খাবার গ্রহণ করা একদমই উচিত না।

৫) রিফাইনেড কার্বস :

রিফাইনেড কার্বস বলতে বুঝায় সেই কার্বোহাইড্রেটকে যা প্রাকৃতিক খাদ্য থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের পরে আঁশ, খনিজ পদার্থ, এবং ভিটামিন সরানো হয়।এইসব উপাদান সরানোর ফলে খাদ্যটি চিনি হিসেবে হয়ে যায়।তাই চিনি খাওয়াটা মোটেও ঠিক কাজ নয়।এসব খাবারের উদাহরণ হচ্ছে সাদা রুটি,পাস্তা, চাল,পেস্ট্রি,মিষ্টি সিরিয়াল ইত্যাদি। এসব খাবার যদি গ্রহণ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

৬) ফাস্ট ফুড :

অনেকেই হয়তো ফাস্ট ফুড সম্পর্কে জানেন।এটি কি ধরনের খাবার সবাই অবশ্যই জানেন।বার্গার,পিজ্জা,ফেঞ্চ ফ্রাই,ফাইইড চিকেন ইত্যাদি এসব খাবার হচ্ছে ফাস্ট ফুড। এসব খাবারে উচ্চ ক্যালরি রয়েছে যার ফলে শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে।তবে এসব খাবার আপনি খেতে পারবেন,কিন্তু রেগুলার খেতে পারবেন না।প্রতিদিন খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষতি বেশি হতে পারে।

৭) এলকোহল :

এলকোহল কি তা নিশ্চই জানেন।মূলত এলকোহল বলা হয় বেশিরভাগ মদ ও ধুমধানকে।শারীরিক ক্ষতির জন্য দায়ী এই এলকোহল। আসলে এলকোহল হচ্ছে একটি পদার্থ যা বিয়ার,ওয়াইন,মদ ইত্যাদিতে থাকে।কোনো ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত এলকোহল সেবন করে তাহলে স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি থাকে।

দীর্ঘদিন যারা এলকোহল সেবন করে তাদের একসময় গিয়ে তাদের লিভার নষ্ট হয়ে যায়।উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, হৃদরোগ,ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে।এলকোহল গ্রহণে মস্তিষ্কের বিরাট বড় সমস্যা হয়।
এছাড়াও এলকোহল গ্রনের ফলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়।
তাই স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে এলকোহল বর্জন করা উচিত।

৮) অতিরিক্ত লবনজাতীয় খাবার :

যেসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে সেসব খাবার গ্রহন করলে দেহের নানা রকম সমস্যা হতে পারে।অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবারকে বলা হয় High sodium salty foods. অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ,স্ট্রোক ঝুকি,রক্ত আমাশয় ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে।স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে এরকম খাবার গ্রহণ না করা উচত।ভাই বলছি না যে একেবারেই খেতে পারবেন না।বিষয়টি এমন না,সবাইই তো জানেন অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না হোক সেটা খাবার বা অন্য কিছু।

৯) মিষ্টি ও ডিজার্টস :

মিষ্টিজাতীয় খাবার তো আরো আগে ঠিক নয়।অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া একদম স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এগুলোতে উচ্চ পরিমাণে চিনিযুক্ত থাকে।যার ফলে শরীরের ক্ষতি তো অবশ্যই হবে।এসব মিষ্টি খাবারের ফলে দাত নষ্ট হয়ে যায়,ডায়বেটিস রোগীদের মিষ্টি খাওয়া সম্পুর্ণ নিষেধ,কেননা মিষ্টি খাবার ডায়বেটিস বাড়ায়।এমনকি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়বেটিস রোগ হয়ে থাকে এবং হঠাৎ মারাও যেতে পারে।সুতরাং মিষ্টি ও মিষ্টি খাবার বা ডিজার্টস খাবার একেবারেই গ্রহণ করা উচিত নয়।

শেষ কথা 

প্রিয় ভিজিটর এসব খাবার খেতে পারবেন তবে খুব খুব সীমিত।না এলকোহল একেবারেই গ্রহণ করা উচিত না।কারণ এলকোহলের ক্ষতিটা সবকিছুর থেকে বেশি ক্ষতি।

অতিরিক্ত কিছুই ভালো ফল দেয় না,সেটা সবাই জানেন।তাই এসব খাবার গ্রহণ অতিরিক্ত থেকে বেচে থাকবেন।
ফাস্ট ফুড খাওয়া যায় তবে কম।সুতরাং বুঝতে পারলেন আমার ব্লগ পোস্টটি।অতিরিক্ত খেতে যাবেন না।সবাই সুস্থ থাকবেন। এসব এলকোহল থেকে চিরকাল বিরত থাকবেন।

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال