মৌলিক ধাতু ক্যালসিয়াম যা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আজকে আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম যা ক্যালসিয়াম সম্পর্কে। মোটামুটি সবাইই জানি ক্যালসিয়াম কী।কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেই আজকের মেইন টপিক সম্পর্কে।
ক্যালসিয়াম কি
ক্যালসিয়াম মানুষের দেহের হাড় ও পেশি মজবুত করতে সহায়তা করে।এমনকি দাঁতের গঠনেও ক্যালসিয়াম খুব কার্যকরী।
আসলে একজন প্রাপ্ত বয়সের মানুষের দেহে বেশির ক্যালসিয়াম দ্বারা আবৃত।প্রায় দুই ভাগ জুড়ে থাকে এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই হাড় ও দাতের মধ্যে থাকে।আর বাকিগুলো থাকে বিভিন্ন রক্তে ও কোষের মধ্যে।
আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ করার জন্য বিভিন্ন খাবারের প্রয়োজন হয়। যেমন - দুধ অথবা দুগ্ধ জাতীয় খাবার।পনির,দুধ,দই ইত্যদি এসব ক্যালসিয়াম পূরণ করে থাকে।
ক্যালসিয়াম এমন একটি ধাতু যা সকল বয়সীদের জন্য প্রযোজ্য।তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত।
ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়
ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিনের খাবারে ক্যালসিয়াম খাবার রাখা উচিত।ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য কিছু খাদ্য খাওয়া জরুরি। আসুন জেনে নেই কিভাবে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করতে পারবেন।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করা উচিত যাতে ক্যালসিয়ামের ঘাতটি পূরণ হয়ে যায়।কারণ ক্যালসিয়াম দেহের হাড় দাতের গঠন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
কিছু কিছু খাবারে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম এড থাকে যা শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে।দুধ,দই ও পণির এরকম খাবারে ক্যালসিয়াম বেশি থাকে।
যদি মনে হয় যে পরিমাণ মতো খাবার খাওয়ার পরেও ক্যালসিয়াম হচ্ছে না,তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করা উচিত।এছাড়াও ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
তবে মাথায় রাখতে হবে এলকোহল বা ধুমপান করা যাবে না।এতে করে ক্যালসিয়াম গ্রোথে বাধা দেয়।মদ্য পানেও ক্যালসিয়াম হাড়ায়।সুতরাং এসব থেকে দূরে থাকা উচিত।
ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণ করে থাকে। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি বিদ্যমান আছে।ভারী বা ওজন কাজ করা ভালো এতে হাড়ের বৃদ্ধি পায়। আর এভাবেই ক্যালসিয়াম বাড়াতে পারবেন।
ক্যালসিয়ামের অভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে
ক্যালসিয়াম এর অভাবে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে যা নিচে আলোচনা করা হলো :
১) ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের ক্ষয় হওয়া শুরু করে।যা একটি মানবদেহের জন্য মোটেই ভালো কিছু নয়।বিশেষ করে হাড় ক্ষয় হওয়া শুরু করে বৃদ্ধ বয়সে।
২) ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় দূর্বল ও ভেঙ্গে যেতে পারে।অস্টিওপরোসিস রোগ দেখা দেয় এই ক্যালসিয়ামের অভাবে।
৩) ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়।
৪) দাতের ক্ষয় হতে শুরু করে।
৫) শিশুদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে রিকেটস রোগ হতে পারে, ফলে হাড় দূর্বল ও নরম হয়ে যায়।
৬) ক্যালসিয়ামের অভাবে শারীরিক দূর্বলতা,পেশির সংকোচন হয় ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
তবে প্রতিদিনের খাবারে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখলে এসব সমস্যা থেকে বাচা যায়।সুতরাং প্রাত্যহিক খাবার রুটিনে ক্যালসিয়াম খাবার রাখা জরুরি।
ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ
ক্যালসিয়াম ঘাটতি রয়েছে বুঝার জন্য কিছু লক্ষণ দেখা যায় যা থেকে বুঝা যায় ক্যালসিয়াম ঘাটতি রয়েছে।আসুন জেনে নেই কোন উপসর্গ দেখলে বুঝা যায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে :
- পেশি খিচুনি ও সংকোচন, কিছু জায়গায় ব্যথা অনুভব হতে পারে,বিশেষ করে পায়ের ব্যথা বেশি হতে পারে।
- ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি হলে চুলের সমস্যা, চুলের দূর্বলতা এবং ত্বকের শুষ্কতা দেখা দেয়।
- দাঁতের ক্ষয় হবে,মাড়ি দূর্বল হতে শুরু করবে।এটাকে বলে ডেন্টাল সমস্যা।
- নখ ভঙ্গুর হতে পারে।
- ক্যালসিয়ামের অভাবে ক্লান্তি, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
- বাস্তবপক্ষে ক্যালসিয়ামের অভাবে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।অর্থাৎ মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যায়।
- রক্তচাপের পরিবর্তন হতে পারে।
- ইমিউন সিস্টেম দূর্বল হয়ে যায়,যা মোটেও ভালো কথা নয়।
শেষ কথা
ক্যালসিয়াম হচ্ছে একটি মৌলিক ধাতু যা শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। খাবারের তালিকায় প্রতিদিন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত।
ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণ করে থাকে।সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি বিদ্যমান রয়েছে,তাই প্রতিদিন কিছু সময় সূর্যের আলোতে থাকা ভালো।
মাছের তেল, ডিমের কুসুম ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম রয়েছে এসব খাবার নিয়মিত খেলে হাড়ের গঠন ঠিক থাকে ক্ষয় থেকে বাঁচা যায়।
যদি ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত আর না হয় ক্যালসিয়াম খাবার বেশি খাওয়া দরকার।
আশা করি ক্লিয়ারলি বুঝতে পারছেন বিষয়টি। তবে হ্যাঁ সঠিকভাবে খাবার গ্রহনের ফলেও যদি সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং সাপ্লিমেন্ট গ্রহ করা উচিত।
আজকের পোস্ট এই পর্যন্ত। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ।
Tags
বিজ্ঞান