মাইক্রোসফট ওয়ার্ড পরিচিতি।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড পরিচিতি (Microsoft word) 


Familiar in ms word


গত পর্বে বলেছিলাম মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কী,কেন শিখবেন ইত্যাদি। আজকে আপনাদেরকে বলবো মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের পরিচিতি সম্পর্কে। 

বর্তমান যুগে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড খুবই পরিচিত একটি শব্দ।ব্যক্তি বা কর্ম যেকোনো ক্ষেত্রেই হোক না কেন এটির গুরুত্ব অপরিসীম। চাকরির ক্ষেত্রেও এটির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে হলে আগে এর ব্যবহার ও কাজ সম্পর্কে জানতে হবে।না জেনেই হুটহাট কোনো কিছু সম্পর্কে জানা যায় না।তা আসুন আজকে আপনাদেরকে আজ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড পরিচয় করিয়ে দেই।

এম এস ওয়ার্ড কি ধরনের সফটওয়্যার 

এম এস ওয়ার্ড হচ্ছে মাইক্রোসফট কোম্পানির একটি সফটওয়্যার। এটি একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার। এটি দ্বারা মূলত লেখালেখির কাজে ব্যবহার করা হয়।
যখন এই সফটওয়্যারটি তৈরি করে বাজারে দেওয়া হয় তখন এটি ডেস্কটপ ভার্সনে ছিল,২০১০ সালে মোবাইল ভার্সন প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল।২০১৪ সালে iOS এবং iPad এর জন্য বের হয়েছিল এবং ২০১৫ সালে প্রথম Android এর জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বের করেছে।

এই সফটওয়্যারটি মূলত মাইক্রোসফট কোম্পানি তাদের গ্রাহকের লেখালেখির জন্য তৈরি করা হয়েছিল।ব্যবহারকারীরা তাদের ডকুমেন্টস ইডিট,তৈরী,রিপোর্ট তৈরি,চার্ট তৈরি, ইত্যাদি কাজ যাতে সহজে করতে পারে।তাই এটিকে বলা হয় ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার। এর দ্বারা বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায় যেমন - টেক্স এডিটিং, ট্যাক্স ফরম্যাটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইনিং,পোস্টার ডিজাইন,ক্যাশমেমো তৈরি, ভাউচার তৈরি ইত্যাদি। 

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বৈশিষ্ট্য 

মোটামুটি সকলেই জানি যে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড আসলে কী,এটা দিয়ে করেটা কী।আসুন এবার জেনে নেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর বৈশিষ্ট্য কী কী।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তার ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধা হয়।এই সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো ধারনা জন্মায়।কাজের বা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে এটি মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য একটি এপ্লিকেশন যার দ্বারা মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করে থাকে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের বৈশিষ্ট্য অনেকগুলো।মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দ্বারা ডকুমেন্টস তৈরী ও সম্পাদনা করা যায়,টেক্সট লেখা,টেক্স কালারিং করা,টেক্সটকে হাইলাইট করা, ফন্ট সাইজ ছোট বড় করা ইত্যাদি। 

বিভিন্ন ধরনের বুলেটিং ব্যবহার,স্পেসিং,এলাইনমেন্ট,টেক্সট, ছবি,ইত্যাদি ইনসার্ট করা।এসব হচ্ছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।পেজকে লেআউট ও ডিজাইন করা যায়।

শেপ ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায়।
পিডিএফ ফাইল আকারে সেভ করা যায়।গ্রাফ চার্ট তৈরি করা যায়।পেজের নাম্বার দেওয়া যায়।হেডার ও ফুটার ব্যবহার করা যায়। 

গ্রামার চেক করা যায়।কম্পিউটার বা মোবাইলে কোথাও যদি কোনো ভুল থাকে তাহলে সেটি লাল আন্ডারলাইন হয়ে যায়।ঠিক মাইক্রোসফট ওয়ার্ডেও একই রকম ভাবে লাল আন্ডারলাইন হয়ে যায়।এতে করে গ্রামার বা বানান যাই হোক সেটি সংশোধন করা যায়।

পেজ মার্জিন,এছাড়াও বর্তমানে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে নতুন নতুন ফিচার যোগ করা হয়েছে।যাতে তার ব্যবহারকারীর সুবিধা হয় কাজের ক্ষেত্রে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শর্টকাট Key 

মানুষের কাজ সংক্ষিপ্ত করে এই কিবোর্ড শর্টকাট গুলো।কম্পিউটারে অনেক শর্টকাট Key রয়েছে।কারণ এতে করে কাজে সময় বাঁচায়।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বের করা হয়েছে মূলত মানুষের কাজের চাপ ও সময় বাঁচানোর জন্য।এর ভিতরে অনেক কিবোর্ড শর্টকাট রয়েছে,চলুন জেনে নেই সেগুলো কী কী।
  • নতুন ডকুমেন্টস তৈরী = Ctrl + N
  • ওপেন ডকুমেন্ট = Ctrl + O
  • ডকুমেন্ট সেভ = Ctrl + S
  • ডকুমেন্ট প্রিন্ট = Ctrl + P
  • ডকুমেন্ট বন্ধ = Ctrl + W
  • ডকুমেন্টস সেভ As = F12
  • টেক্সট বোল্ড = Ctrl + B
  • টেক্সট italic = Ctrl = i
  • লেখা আন্ডারলাইন = Ctrl+U
  • লেখা কাট = Ctrl+X
  • লেখা কপি = Ctrl+C
  • লেখা পেস্ট = Ctrl+V
  • সেলেক্ট অল = Ctrl+A
  • আগের অবস্থায় ফিরে যেতে = Ctrl+Z
  • Redo = Ctrl+Y
  • ক্লিয়ার ফরম্যাটিং = Ctrl+Q/space
  • লেখার শুরুতে যাওয়া = Ctrl+Home
  • লেখার শেষে যাওয়া = Ctrl+End
  • এক পৃষ্ঠা উপরে = Ctrl+Page up
  • এক পৃষ্ঠা নিচে = Ctrl+Page Down
  • এক শব্দ ডানে যেতে = right arrow
  • এক শব্দ বামে = Left Arrow
  • এক প্যারাগ্রাফ উপরে = Up arrow
  • এক প্যারাগ্রাফ নিচে = Down Arrow
  • Alignment Center = Ctrl+E
  • Left Alignment = Ctrl+L
  • Right Alignment = Ctrl+R
  • Justifying Alignment = Ctrl+J
  • ফাইন্ড = Ctrl+F
এই কীগুলো ব্যবহারে কাজের সময় বাঁচায়।তাই বলা যায় যে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড মানুষের কাজের সময় ও চাপ কমিয়ে থাকে।

ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড 

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে অনেক ফিচার রয়েছে যা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত জীবনকে সহজ করেছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড। ব্যক্তিগত অনেক কাজ করা যায় এই ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার দিয়ে

১) ডকুমেন্টস তৈরী ও সম্পাদনা :

বাসায় বা ব্যক্তি পেশায় মাইক্রোসফট ওয়ার্ড একটি আদর্শ সফটওয়্যার। কেননা এটি দ্বারা বাসায় বসে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তৈরি ও সম্পাদনা করতে পারে।চিঠি,নিবন্ধ,এপ্লিকেশন তৈরি করা যায় বিধায় এটি একটি আদর্শ টুলস ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে।

২) সিভি তৈরির ক্ষেত্রে : 

ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে আরো একটি সুবিধা হচ্ছে সিভি তৈরি করা। একটি কম্পিউটার ইন্টারনেট সংযোগসহ এবং মাইক্রোসফট ইনস্টল থাকলে সাধারণত বাসায় বসেই সিভি ক্রিয়েট করা যায়।চাকরির জন্য আবেদন করার জনু সিভি তৈরি করতে হয়।কিন্তু এই কাজ ব্যক্তি নিজেই করতে পারে বাসায় থেকে। যদি প্রিন্টার না থাকে।তাহলে মোবাইলে পিডিএফ আকারে সেভ করে মোবাইলে নিয়ে তারপরে একটি কম্পিউটার দোকান থেকে বের করা যায়।এতে টাকাও বাঁচে।

পেশার ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড 

পেশায়ও মাইক্রোসফট ওয়ার্ড খুব কাজের। পেশার ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দৈনন্দিন কাজে সময় ও ব্যয় কমিয়ে থাকে।

১) দলিল প্রস্তুত :

পেশায় অনেক সময় দলিল তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে।
আর এসব প্রয়োজনীয় কাজ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দিয়ে করা যায় খুব সহজে।

২) মেইল মার্জ : 

পেশার ক্ষেত্রে অনেক সময় একই মেইল বিভিন্ন ঠিকানায় পাঠানোর প্রয়োজন পড়তে পারে।আর এই কাজ করার জন্য রয়েছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে একই মেইল ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানায় পাঠানো যায়।

৩) তথ্য বিশ্লেষণ : 

পেশার ক্ষেত্রে তথ্য বিশ্লেষণ ও ডেটা প্রক্রিয়া করার প্রয়োজন বেশি,যাতে কাজের ভূল কম থাকে।সময় বাঁচায় এই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড পেশার ক্ষেত্রে।

মাইক্রোসফট মোবাইল ভার্সন 

আগে যখন প্রথম মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বের হয় তখন এটি মোবাইল ভার্সনে ছিল না।২০১৪/২০১৫ সালে প্রথম মাইক্রোসফট কর্পোরেশন iOS এবং Android এর জন্য বের করে।যা মানুষের জন্য আরো সহজ হয়ে যায়।কারণ কম্পিউটার তো আর বাইরে নেওয়া যায় না,তাই মোবাইল ভার্সন বের হয়েছে।

মোবাইলে এটি বের করার ফলে আরো সহজ হয়ে গেছে।কারণ সহজে যেকোনো জায়গায় গিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড মোবাইল ভার্সন দিয়ে কাজ করা যায়।


ডেস্কটপ ভার্সন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড 

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড মূলত প্রধানত ডেস্কটপ এর জন্য বের করা হয়েছিল।মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কোম্পানি যখন অফিসিয়ালি এই সফটওয়্যারটি তৈরী করেছিল,তখন থেকেই এটি ডেস্কটপ ভার্সনে Launch করেছিল।

ডেস্কটপ ভার্সনের জন্যু মূলত এই সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছিল,কিন্তু মাইক্রোসফট কোম্পানি ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য পরবর্তীতে মোবাইল ভার্সনে এই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বের করা হয়।


মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ব্যবহার

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে তো মোটামুটি ধারনা পেয়েছেন।এবার জেনে নেন যে এর ব্যবহারের দিকগুলো যা ব্যক্তি বা কাজের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

১) আর্টিকে লেখা :

আর্টিকেল লেখা কী তা নিশ্চয়ই সকলেই জানেন।কিছু ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই সফটওয়্যারটি একটি আদর্শ।কেননা একজন ফ্রিলান্সার তার ক্লায়েন্টকে খুশি করার জন্য কাজের প্রতি ভালো ফলাফল আশা করে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে ক্লায়েন্টকে খুশি করতে পারে।তবে অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে।দক্ষতা অর্জন না করেই যদি ক্লায়েন্টকে খুশি করতে যান কোনো কাজ হবে না।ক্লায়েন্ট শুধু কাজ দেখে অন্য কিছু না।তাই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে।

যাইহোক,ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের থেকে কাজ নিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে কাজ ক্লায়েন্টকে জমা দিতে পারে।আর এসব কাজ এই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মাধ্যমে করে থাকে।

২) ডকুমেন্টস তৈরী ও বিশ্লেষণ :

দৈনন্দিন জীবনের কিছু কাজ মানুষের করা হয়ে থাকে,তা হলো ডকুমেন্টস তৈরী করা।অফিস, আদালত,স্কুল-কলেজে বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ডকুমেন্টস দেওয়া লাগে।

আর এসব ডকুমেন্টস তৈরী করা হয় মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দিয়ে।এই একটি সফটওয়্যার দ্বারা অনেক রকমের কাজ করা যায়,যা মানুষের দৈনন্দিন কাজের চাহিদা মেটায়।

৩) CV বা কারিকুলাম ভিটা :

Curriculum vitea (CV) হচ্ছে একধনের ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস। এই সিভিতে ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থাকে,বিভিন্ন স্কিল,শিক্ষাগত যোগ্যতা, ঠিকানা ইত্যাদি বিষয় দেওয়া থাকে।যা ব্যক্তির চাকরির ক্ষেত্রে এটি জমা দিতে হয়।

নিশ্চই ওয়ার্ড ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়।হ্যাঁ, এই সিভি বা কারিকুলাম ভিটা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দিয়ে তৈরি করা যায়।সুতরাং অলরাউন্ডার এই সফটওয়্যার সম্পর্কে নিশ্চই বুঝেছেন

৪) ভিজিটিং কার্ড :

ব্যবসায়ীকদের অনেক সময় ভিজিটিং কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। সবার তো আর ফোন নাম্বার দেওয়া বা নেওয়া যায় না,তাই ব্যবসায়ীক লেনদেন বা অন্যান্য বিষয়ের জন্য ভিজিটিং দেওয়া যায়।আর ভিজিটিং কার্ডও সহজে কিছু মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টুলসটি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।সর্বপ্রথম ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বের হয়েছে তারপরে আস্তে আস্তে বিভিন্ন ভার্সন বের হয়েছিল।


মাইক্রোসফট এর বিভিন্ন ভার্সন

বিভিন্ন সময়ে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এমএস ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভার্সন বের করেছে,যা ব্যবহারকারীর কথা চিন্তা করে বের করেছিল এবং নতুন নতুন ফিচারসহ বের করা হয়েছিল।আসুন জেনে নেই বিভিন্ন ভার্সন বের হয়েছে।

  • ১৯৮৩ সালে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন প্রথম সংস্করণ বের করেছিল যা Ms-DOS নামে ছিল।অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এটি চালু হয়েছিল।
  • উন্নত ইন্টারফেস ও নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয়ে যার ভার্সন ছিল 2.0 তে।
  • তারপরে word for windows 1.0 বের হয় যা ডেস্কটপ ভার্সন ছিল।
  • Word for windows 2.0 পরবর্তীতে বের হয়।
  • Word 6.0 ছিল উইন্ডোজ ৩.১ এবং NT এর জন্য।
  • উইন্ডোজ ৯৫ এর সাথে একটি ভার্সন বের হয়েছিল যা ছিল Word 95.
  • ওয়ার্ড ৯৭ যখন এসেছিল তখন নতুন নতুন ফিচারসহ বের হয়েছিল যা ব্যবহারকারীর সুবিধা হয়েছিল।
তারপরে আরেকটি ভার্সন বের হয়েছে যেটি ছিল ওয়ার্ড ২০০০ যা ২০০০ অফিস Suit এর অংশ ছিল।তারপরে আস্তে আস্তে word 2002, ২০০৩,ওয়ার্ড ২০০৬,ওয়ার্ড ২০০৭,২০১০,২০১৩,২০১৬,২০১৯, তারপরে এখন বর্তমানে Microsoft 365 আছে যা সর্বশেষ ভার্সন। 

ভবিষ্যতে হয়তো মাইক্রোসফট কর্পোরেশন তাদের ব্যবহারকারীর সুবিধার্থে আরো আপডেট আনতে পারে।তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আপডেট এসেছে এসব ভার্সনের সাথে।তবে Microsoft 365 এটি Subscription ভিত্তিক সফটওয়্যার। 


মাইক্রোসফট ৩৬৫ (Office 365)

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড অফিস ৩৬৫ হচ্ছে নতুন সংস্করণ যা ২০২৩ সালে আপডেট করা হয়।এটি একটি মাইক্রোসফট কর্পোরেশন দ্বারা তৈরিকৃত সফটওয়্যার ও ক্লাউড ভিত্তিক সেবা প্রদান করে থাকে।

এই সফটওয়্যারটি যখন নতুন ও প্রথম তখন এর নাম ছিল Office 365 যা ২০২০ সালে প্রথম নামকরণ করা হয়েছিল।পরবর্তীতে ২০২৩ সালে পুনর্ব্যান্ডিং হিসেবে Microsoft 365 নামে বের করা হয়।

এই মাইক্রোসফট ৩৬৫ এ আছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল,পাওয়ার পয়েন্ট,আউটলুক,ওয়াননোট,এক্সেস,পাবলিসার। 

ক্লাউড সেবার মধ্যে রয়েছে OneDrive,Sharepoint,Microsoft Terms. এসব কিছু তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য আপডেটেড।যা তারা সময়ে সময়ে পেয়ে যায়।

মাইক্রোসফট ৩৬৫ তে যারা সাবস্ক্রিপশন করে রেছেছে তারা সবসময় নতুন নতুন আপডেট এবং নতুন নতুন ফিচার পেয়ে থাকে যা ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধা করে দিচ্ছে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কোম্পানি। 


মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যালয়

১) প্রতিষ্ঠাতা : 

মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর প্রতিষ্ঠাতা এমন একজন যিনি একসময় বিশ্বের ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।হ্যাঁ আমি বিল গ্যাটস এর কথা বলছি। মাইক্রোসফট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিল গেটস পল এলেন।তার দুজনই মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কোম্পানি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ১৯৮৩ সালেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বের করে।

২) কার্যালয় :

মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত যা এলাকার নাম হচ্ছে রেডমন্ড। মূলত এখান থেকেই এসব সফটওয়্যার পরিচালনা করে থাকে।


শেষ কথা

আশা করি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কর্পোরেশন সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন। মূলত সকল ক্ষেত্রেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড খুবই জরুরী একটি সফটওয়্যার। এর দ্বারা মানুষের দৈনন্দিন কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

হোক ব্যক্তি বা চাকরি বা ব্যবসায় অথবা বড় কোম্পানি মাইক্রোসফট ব্যবহার প্রায় করেই থাকে। কেননা এটি এমন একটি সফটওয়্যার যেখানে অনেক ফিচার রয়েছে যা কাজের ক্ষেত্রে সময় ও কষ্ট কমায়।

চাকরির ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে অবশ্যই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। কারণ এটাও একটি স্কিল বা দক্ষতা যা একটি কোম্পানি কর্মীদের থেকে আশা করে থাকে।

অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট বা অফলাইনে অনেক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেন না কেন ভালোভাবে শিখে নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে অফলাইনে প্রশিক্ষণ নিয়ে সার্টিফিকেট পাবেন,কিন্তু অনলাইনে হয়তো শিখতে পারবেন কিন্তু সার্টিফিকেট পাবেন না।

সুতরাং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন।আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। 


আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে 

নবীনতর পূর্বতন