মাইক্রোসফট ওয়ার্ড পরিচিতি (Microsoft word)
এম এস ওয়ার্ড কি ধরনের সফটওয়্যার
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বৈশিষ্ট্য
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শর্টকাট Key
- নতুন ডকুমেন্টস তৈরী = Ctrl + N
- ওপেন ডকুমেন্ট = Ctrl + O
- ডকুমেন্ট সেভ = Ctrl + S
- ডকুমেন্ট প্রিন্ট = Ctrl + P
- ডকুমেন্ট বন্ধ = Ctrl + W
- ডকুমেন্টস সেভ As = F12
- টেক্সট বোল্ড = Ctrl + B
- টেক্সট italic = Ctrl = i
- লেখা আন্ডারলাইন = Ctrl+U
- লেখা কাট = Ctrl+X
- লেখা কপি = Ctrl+C
- লেখা পেস্ট = Ctrl+V
- সেলেক্ট অল = Ctrl+A
- আগের অবস্থায় ফিরে যেতে = Ctrl+Z
- Redo = Ctrl+Y
- ক্লিয়ার ফরম্যাটিং = Ctrl+Q/space
- লেখার শুরুতে যাওয়া = Ctrl+Home
- লেখার শেষে যাওয়া = Ctrl+End
- এক পৃষ্ঠা উপরে = Ctrl+Page up
- এক পৃষ্ঠা নিচে = Ctrl+Page Down
- এক শব্দ ডানে যেতে = right arrow
- এক শব্দ বামে = Left Arrow
- এক প্যারাগ্রাফ উপরে = Up arrow
- এক প্যারাগ্রাফ নিচে = Down Arrow
- Alignment Center = Ctrl+E
- Left Alignment = Ctrl+L
- Right Alignment = Ctrl+R
- Justifying Alignment = Ctrl+J
- ফাইন্ড = Ctrl+F
ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
১) ডকুমেন্টস তৈরী ও সম্পাদনা :
২) সিভি তৈরির ক্ষেত্রে :
পেশার ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
১) দলিল প্রস্তুত :
২) মেইল মার্জ :
৩) তথ্য বিশ্লেষণ :
মাইক্রোসফট মোবাইল ভার্সন
মোবাইলে এটি বের করার ফলে আরো সহজ হয়ে গেছে।কারণ সহজে যেকোনো জায়গায় গিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড মোবাইল ভার্সন দিয়ে কাজ করা যায়।
ডেস্কটপ ভার্সন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড মূলত প্রধানত ডেস্কটপ এর জন্য বের করা হয়েছিল।মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কোম্পানি যখন অফিসিয়ালি এই সফটওয়্যারটি তৈরী করেছিল,তখন থেকেই এটি ডেস্কটপ ভার্সনে Launch করেছিল।
ডেস্কটপ ভার্সনের জন্যু মূলত এই সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছিল,কিন্তু মাইক্রোসফট কোম্পানি ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য পরবর্তীতে মোবাইল ভার্সনে এই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বের করা হয়।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ব্যবহার
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে তো মোটামুটি ধারনা পেয়েছেন।এবার জেনে নেন যে এর ব্যবহারের দিকগুলো যা ব্যক্তি বা কাজের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
১) আর্টিকে লেখা :
আর্টিকেল লেখা কী তা নিশ্চয়ই সকলেই জানেন।কিছু ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই সফটওয়্যারটি একটি আদর্শ।কেননা একজন ফ্রিলান্সার তার ক্লায়েন্টকে খুশি করার জন্য কাজের প্রতি ভালো ফলাফল আশা করে।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে ক্লায়েন্টকে খুশি করতে পারে।তবে অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে।দক্ষতা অর্জন না করেই যদি ক্লায়েন্টকে খুশি করতে যান কোনো কাজ হবে না।ক্লায়েন্ট শুধু কাজ দেখে অন্য কিছু না।তাই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে।
যাইহোক,ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের থেকে কাজ নিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে কাজ ক্লায়েন্টকে জমা দিতে পারে।আর এসব কাজ এই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মাধ্যমে করে থাকে।
২) ডকুমেন্টস তৈরী ও বিশ্লেষণ :
দৈনন্দিন জীবনের কিছু কাজ মানুষের করা হয়ে থাকে,তা হলো ডকুমেন্টস তৈরী করা।অফিস, আদালত,স্কুল-কলেজে বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ডকুমেন্টস দেওয়া লাগে।
আর এসব ডকুমেন্টস তৈরী করা হয় মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দিয়ে।এই একটি সফটওয়্যার দ্বারা অনেক রকমের কাজ করা যায়,যা মানুষের দৈনন্দিন কাজের চাহিদা মেটায়।
৩) CV বা কারিকুলাম ভিটা :
Curriculum vitea (CV) হচ্ছে একধনের ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস। এই সিভিতে ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থাকে,বিভিন্ন স্কিল,শিক্ষাগত যোগ্যতা, ঠিকানা ইত্যাদি বিষয় দেওয়া থাকে।যা ব্যক্তির চাকরির ক্ষেত্রে এটি জমা দিতে হয়।
নিশ্চই ওয়ার্ড ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়।হ্যাঁ, এই সিভি বা কারিকুলাম ভিটা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দিয়ে তৈরি করা যায়।সুতরাং অলরাউন্ডার এই সফটওয়্যার সম্পর্কে নিশ্চই বুঝেছেন।
৪) ভিজিটিং কার্ড :
ব্যবসায়ীকদের অনেক সময় ভিজিটিং কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। সবার তো আর ফোন নাম্বার দেওয়া বা নেওয়া যায় না,তাই ব্যবসায়ীক লেনদেন বা অন্যান্য বিষয়ের জন্য ভিজিটিং দেওয়া যায়।আর ভিজিটিং কার্ডও সহজে কিছু মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টুলসটি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।সর্বপ্রথম ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বের হয়েছে তারপরে আস্তে আস্তে বিভিন্ন ভার্সন বের হয়েছিল।
মাইক্রোসফট এর বিভিন্ন ভার্সন
বিভিন্ন সময়ে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এমএস ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভার্সন বের করেছে,যা ব্যবহারকারীর কথা চিন্তা করে বের করেছিল এবং নতুন নতুন ফিচারসহ বের করা হয়েছিল।আসুন জেনে নেই বিভিন্ন ভার্সন বের হয়েছে।
- ১৯৮৩ সালে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন প্রথম সংস্করণ বের করেছিল যা Ms-DOS নামে ছিল।অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এটি চালু হয়েছিল।
- উন্নত ইন্টারফেস ও নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয়ে যার ভার্সন ছিল 2.0 তে।
- তারপরে word for windows 1.0 বের হয় যা ডেস্কটপ ভার্সন ছিল।
- Word for windows 2.0 পরবর্তীতে বের হয়।
- Word 6.0 ছিল উইন্ডোজ ৩.১ এবং NT এর জন্য।
- উইন্ডোজ ৯৫ এর সাথে একটি ভার্সন বের হয়েছিল যা ছিল Word 95.
- ওয়ার্ড ৯৭ যখন এসেছিল তখন নতুন নতুন ফিচারসহ বের হয়েছিল যা ব্যবহারকারীর সুবিধা হয়েছিল।
ভবিষ্যতে হয়তো মাইক্রোসফট কর্পোরেশন তাদের ব্যবহারকারীর সুবিধার্থে আরো আপডেট আনতে পারে।তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আপডেট এসেছে এসব ভার্সনের সাথে।তবে Microsoft 365 এটি Subscription ভিত্তিক সফটওয়্যার।
মাইক্রোসফট ৩৬৫ (Office 365)
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড অফিস ৩৬৫ হচ্ছে নতুন সংস্করণ যা ২০২৩ সালে আপডেট করা হয়।এটি একটি মাইক্রোসফট কর্পোরেশন দ্বারা তৈরিকৃত সফটওয়্যার ও ক্লাউড ভিত্তিক সেবা প্রদান করে থাকে।
এই সফটওয়্যারটি যখন নতুন ও প্রথম তখন এর নাম ছিল Office 365 যা ২০২০ সালে প্রথম নামকরণ করা হয়েছিল।পরবর্তীতে ২০২৩ সালে পুনর্ব্যান্ডিং হিসেবে Microsoft 365 নামে বের করা হয়।
এই মাইক্রোসফট ৩৬৫ এ আছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল,পাওয়ার পয়েন্ট,আউটলুক,ওয়াননোট,এক্সেস,পাবলিসার।
ক্লাউড সেবার মধ্যে রয়েছে OneDrive,Sharepoint,Microsoft Terms. এসব কিছু তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য আপডেটেড।যা তারা সময়ে সময়ে পেয়ে যায়।
মাইক্রোসফট ৩৬৫ তে যারা সাবস্ক্রিপশন করে রেছেছে তারা সবসময় নতুন নতুন আপডেট এবং নতুন নতুন ফিচার পেয়ে থাকে যা ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধা করে দিচ্ছে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কোম্পানি।
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যালয়
১) প্রতিষ্ঠাতা :
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর প্রতিষ্ঠাতা এমন একজন যিনি একসময় বিশ্বের ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।হ্যাঁ আমি বিল গ্যাটস এর কথা বলছি। মাইক্রোসফট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিল গেটস পল এলেন।তার দুজনই মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কোম্পানি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ১৯৮৩ সালেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বের করে।
২) কার্যালয় :
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত যা এলাকার নাম হচ্ছে রেডমন্ড। মূলত এখান থেকেই এসব সফটওয়্যার পরিচালনা করে থাকে।
শেষ কথা
আশা করি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কর্পোরেশন সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন। মূলত সকল ক্ষেত্রেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড খুবই জরুরী একটি সফটওয়্যার। এর দ্বারা মানুষের দৈনন্দিন কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
হোক ব্যক্তি বা চাকরি বা ব্যবসায় অথবা বড় কোম্পানি মাইক্রোসফট ব্যবহার প্রায় করেই থাকে। কেননা এটি এমন একটি সফটওয়্যার যেখানে অনেক ফিচার রয়েছে যা কাজের ক্ষেত্রে সময় ও কষ্ট কমায়।
চাকরির ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে অবশ্যই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। কারণ এটাও একটি স্কিল বা দক্ষতা যা একটি কোম্পানি কর্মীদের থেকে আশা করে থাকে।
অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট বা অফলাইনে অনেক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেন না কেন ভালোভাবে শিখে নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে অফলাইনে প্রশিক্ষণ নিয়ে সার্টিফিকেট পাবেন,কিন্তু অনলাইনে হয়তো শিখতে পারবেন কিন্তু সার্টিফিকেট পাবেন না।
সুতরাং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন।আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।