আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক

ব্যাংকিং খাতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক (2024)

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন।বন্ধুরা আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমি আপনাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট নিয়ে আসলাম। আর সেটি হচ্ছে "আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক" সম্পর্কে এবং বিস্তারিত আলোচনা করবো এই বিষয় নিয়ে,তাই সাথেই থাকুন।

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক 

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক একটি অন্যতম ব্যাংক।আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে AIBL (Al-Arafah-Islami-Bank) ব্যাংকটি বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শুরুর দিক থেকে বর্তমান ২০২৪ এ এসে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকদের পছন্দনীয় হয়্র উঠেছে।এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য হলো সমাজের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সুষম অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলা।আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য তৈরী।এই ব্যাংকটি সুদ দেওয়া ও নেওয়া কোনোটিকেই সমর্থন করে না।এই ব্যাংকটি ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে থাকে।

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এর ইতিহাস 

এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত হয় আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।এই ব্যাংকটি যারা প্রতিষ্ঠিত করেছিল তারা ছিল ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, এবং সমাজসেবক।ঐ সময়ে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলে আল হাজ্জ আব্দুল মালেক মিয়া।অর্থাৎ তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। 

প্রথম ব্যাংকটি ঢাকার মতিঝিল শহরে স্থাপন করেছিল ১৯৯৫ সালে।আর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক কাজ করে আসছে বর্তমানেও একই কাজ করছে।কোনো সুদ দেয় না এই ব্যাংকটি।কারণ সুদ ইসলামে হারাম।প্রাথমিক অবস্থায় এই ব্যাংকটি সঞ্চয়,ঋণ এবং ব্যবসায়ীক লোন দিয়ে শুরু করেছিল।
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম বিস্তৃতি ঘটায়।

১৯৯৮ সালের পরে তারা ব্যাংকের অগ্রগতি দেখতে শুরু করে এবং পরবর্তীতে এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে শাখা খোলতে শুরু করে।এর থেকে বাংলাদেশের জনসাধারণের কাছে প্রিয় হয়ে উঠে।বর্তমানে এই ব্যাংকটির শাখা রয়েছে ২০১ টি।এছাড়াও এরবকিছু শাখা ব্যাংক রয়েছে যা দ্বারা ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদনা করে থাকে।

২০০৪ সালের দিকে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এ তালিকাভুক্ত হয়।ফলে জনমানবের কাছে ব্যাংকটি শেয়ার বিক্রি করতে পারে।এইভাবে তাদের মূলধন সংগ্রহ করে থাকে।প্রায় ২০০৮ - ২০১২ এই সময়ে ব্যাংকটি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কথা চিন্তা করে।পরবর্তীতে এটিএম সেবা, অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে।

ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি এই ব্যাংকটি সামাজিক অনেক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে থাকে।এই ব্যাংকটি শিক্ষা,স্বাস্থ্য এবং দারিদ্র বিমোচনে নিয়মিত অবদান রাখে।সামাজিক উন্নয়নে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ভূমিকা রাখে।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সেবাসমূহ

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক তাদের গ্রাহককে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে।আসুন আলোচনা করি কি কি সেবা দেয় এই ব্যাংকটি। 

১) আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকটি বিভিন্ন ধরনের আমানত স্কিম পরিচালনা করে থাকে।যেমন - মুদারাবা সঞ্চয়ী, মুদারাবা মেয়াদী আমানত, মুদারাবা বিশেষ সঞ্চয়ী হিসাব। 

২) আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকটি বিভিন্ন ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে।তবে শরীয়াহ ভিত্তিক ঋণ প্রদান করে কোনো দেয়া না।এসব মূলত দিয় থাকে ব্যবসায়ীক কাজ বা আরো অন্যান্য কাজের জন্য।যা অর্থনৈতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

৩) এই ব্যাংকটি বিনিয়োগ খাতেও বিনিয়োগ সেবা প্রদান করে থাকে।শরীয়াহ ভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করে যা বিনিয়োগ করে গ্রাহকের জন্য মুনাফা অর্জন হয়।

৪) এই ব্যাংকটি আন্তর্জাতিক লেনদেনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাণিজ্যিক খাতে এক্সপোর্ট এবং ইম্পোর্ট এ সাহায্য করে থাকে।যা ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো।

উপসংহার 

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে এক ধরনের ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত একটি ব্যাংক।
সুদ দেয় না এই ব্যাংকে।এই ব্যাংকটি ব্যবসায়ীক কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক কাজেও আগ্রহী এবং এটি বাস্তবেও পরিণত করে থাকে।বিশেষ করে দারিদ্র বিমোচনে এই ব্যাংক কাজ করে আসছে।গ্রামের উন্নতির কথা চিন্তা করে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক গ্রামীন এলাকায় শাখা ব্যাংকিং চালু করেছে যাতে গ্রামীন এলাকায় উন্নতি সাধিত হয়।

নবীনতর পূর্বতন