শরীরের শক্তি বাড়াতে ১০ টি সহায়ক খাদ্য

শরীরের শক্তি বাড়াতে সহায়ক

দশটি খাবার তালিকা।

শরীরের শক্তি বাড়ানো খাবার


আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। বন্ধুরা অনেক দিন পরে আবারো ব্লগ পোস্ট নিয়ে আসলাম। কিছু ঝামেলার জন্য ব্লগ পোস্ট লিখতে পারিনি। তাই আজকে আবার আপনাদেরকে একটি ব্লগ পোস্ট জানাতে এসেছি আর তা হচ্ছে যে আপনি আপনার শরীরের শক্তি বাড়াতে দশটি খাবারের খাদ্যাভ্যাস করতে।তো চলুন শুরু করি আজকের ব্লগে।

দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে অনেক কাজকর্ম করতে হয় আর সেই শক্তি আমরা খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি। আপনার জীবনে সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য প্রয়োজন শক্তির।খাবার গ্রহনের ফলে সেটি আমাদের শরীরের হজম হয়ে পুষ্টিগুনে থেকে যায়।ফলে এক সময় গিয়ে শারীরিক শক্তি বাড়তে থাকে।আসুন আলোচনা করি কোন কোন খাবার শরীরের শক্তি বাড়ায়।

(১) ওটস 

ওটস অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার যা সকালের নাস্তায় খাওয়া হয়।ওটস খাওয়ার পরে শক্তি বাড়ে।এতে রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবা।এই খাবারটি শরীরে ধীরে ধীরে শক্তি যোগায়।অর্থাৎ এটি শরীরে আস্তে আস্তে কাজ করে তবে কাজ করবে ঠিকই আস্তে আস্তে।এছাড়াও ওটস শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।এটি খাওয়ার ফলে আপনি দীর্ঘদিন শক্তি অনুভব করবেন

(২) বাদাম

বাদাম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন এর পুষ্টিগুণ রয়েছে।
বাদামে রয়েছে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি দিয়ে থাকে।যেকোন সময় আপনি বাদাম খেতে পারেন, ফলে তাৎক্ষণিক শক্তি বাড়ে।

(৩) ডিম 

ডিম উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।আপনি হয়তোবা অনেক স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিকে দেখে থাকবেন যারা জিম করে শরীরকে স্বাস্থ্যবান করেছে আসলে জীমের অবদানতো আছেই তবে এইসব লোকেরা প্রতিদিনই ডিম খায় যার ফলে স্বাস্থ্য ও শক্তি দুটিই পেয়ে থাকে।শরীরের মেটাবলিজম উন্নত করতে এবং মাংসপেশির বৃদ্ধিতে ডিমের অবদান অনেক বেশি।সকালের নাস্তায় একটি ডিম আপনাকে সারাদিন কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে।

(৪) কলা

ভাই কলা হচ্ছে প্রাকৃতিক একটি ফল।এটিকে আবার অনেকে সবজি হিসেবেও রান্না করে থাকে।এর কার্যক্ষমতাও অনেক বেশি।কলায় রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি,ফাইবার এবং পটাশিয়াম যা শরীরকে দ্রুত শক্তিশালী করে থাকে।শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট বজার রাখতে সাহায্য করে এই কলা।প্রতিদিন সকালে নাস্তায় কলা খেতে পারেন প্রচুর শক্তি পাবেন শরীরে।

(৫) মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুর নাম তো অবশ্যই শোনেছেন বা দেখেছেন অথবা খেয়েছেন।কিন্তু এর কাজ সম্পর্কে জানেন কী আপনি?মূলত কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে এই মিষ্টি আলু।এটি গ্রহনের ফলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।

(৬) মাছ 

মাছ হচ্ছে অতি বেশি পরিমানে ভিটামিন,ক্যালরি ও শর্করার থাকে।বিশেষ করে স্যামন মাছে ওমেগা - ৩, ফ্যাটি এসিড এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়।

(৭) সবুজ শাক-সবজি 

ভাই শাক-সবজিতে তো প্রচুর ভিটামিন আর শক্তি ও পুষ্টি পাওয়া যায়।একজন ব্যক্তির প্রতিদিনই শাক-সবজি খাওয়া উচিত।পালং শাক এবং আরো অন্যান্য শাক-সবজি আয়রন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। যা শরীরের রক্ত উৎপাদন বৃদ্ধি করে ও শরীরের শক্তি বাড়ে।

(৮) গ্রীন - টি

গ্রীন টি নিশ্চয়ই অনেকি শোনেছেন এটি কী।এটি একটি একধরনের পানীয় যা চা হিসেবে পরিচিত। গ্রীন টিতে ক্যাফেইন এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এর পুষ্টিগুণ শরীরের শক্তি ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।এক কাপ গ্রীন-টি আপনার শরীরকে রাখে সতেজ ও সুন্দর।

(৯) বেরি জাতীয় ফল

স্ট্রবেরি,ব্লুবেরি র‍্যাম্পবেরি ইত্যাদি জাতীয় ফলে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শারীরিক ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।এতে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে।যা দ্রুত শক্তি প্রদান করে।

(১০) চিয়া সিড

চিয়া সিড প্রোটিন,ফাইবার এ ওমেগা - ৩ ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ। এই খাবারটি গ্রহণ করলে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি শরীরে থাকে এবং মেটাবলিজম উন্নত করে।চাইলে সকালের নাস্তায় চিয়া সিড রাখতে পারে যা সারাদিন শরীরে শক্তি যোগায়।

শেষ কথা

সুস্থ ও শরীরের শক্তি যোগাতে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনুন।এই ১০ টি খাবার আপনার দৈনন্দিন খাবার রুটিনে রাখা উচিত।দেখবেন জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।আর শক্তি তো পাবেন ই।সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ফলে পাবেন দীর্ঘস্থায়ী শক্তি ও সুস্থতা
নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال