ভিসা কার্ড কী? ভিসা কার্ড দিয়ে
কি কি করা যায় (বিস্তারিত)।
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। ব্যাংকিং বিষয়ে অনেকেরই ধারণা খুবই কম। তাই আমার এই ওয়েবসাইটে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে অনেকগুলো পোস্ট করা হয়েছে চাইলে আপনারা পড়তে পারেন।আজকের এই ব্লগে আপনাদেরকে জানাবো ব্যাংকিংয়ের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে যা হচ্ছে "ভিসা কার্ড" সম্পর্কে। লেটস গো আজকের টপিকে।
ভিসা কার্ড কী (Visa Card)
ভিসা কার্ড হচ্ছে একধরনের পেমেন্ট ব্যবস্থা যা বিশ্বব্যাপী অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। ভিসা কার্ড একটি ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড হতে পারে,যা ভিসা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস এসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালিত হয়ে থাকে।যদি আপনি ভিসা কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তাহলে বিশ্বব্যাপী যেকোনো স্থানে অর্থ প্রদান করতে পারবেন।
ভিসা কার্ডের ইতিহাস
ভিসা কার্ডের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। ভিসা কার্ড আধুনিক পেমেন্টের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।ভিসা কার্ডের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৮ সালের দিকে।আসুন বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
১৯৫৮ সালে ব্যাংক অব আমেরিকা BankAmericard নামে প্রথম ব্যাপকভাবে গ্রহযোগ্য ক্রেডিট কার্ড চালু করে।প্রথম প্রথম এই কার্ডটি ক্যালিফোর্নিয়াতে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ ছিল।পরবর্তী সময়ে ১৯৭০ সালের দিকে ব্যাংক অব আমেরিকা তাদের BankAmericard প্রোগ্রামটি অন্যান্য ব্যাংকের কাছে ফ্রাঞ্চাইজি আকারে দিতে শুরু করে।যাতে তাদের নিজস্ব নামের অধীনে এটি চালাতে পারে।
১৯৭৬ সালে এই কার্ডের নাম চেঞ্জ করে রাখা হয় ভিসা কার্ড।ভিসা কার্ড নামকরণ করার পরে বিশ্বব্যাপী এর পরিচিতি বাড়তে থাকে।গ্রহনযোগ্যতাও বাড়তে থাকে।
১৯৮০ সালের ভিসা কার্ড পুরো বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে ফেলে এবং আন্তর্জাতিক অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
২০০৭ সালে ভিসা কোম্পানি তার সকল আঞ্চলিক ব্যবসাগুলোকে একত্রিত করে Visa Inc. একটি একক গ্লোবাল কর্পোরেশন গঠন করে।২০০৮ সালে Visa Inc.
পাবলিক কোম্পানি হিসেবে স্টক মার্কেটে নিজেদেরকে আত্নপ্রকাশ করে, যা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আইপিও।
বর্তমানে ভিসা (Visa) একটি গ্লোবাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক যা ২০০ শ টিরও বেশি দেশে ব্যবহৃত হয়। ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্ট প্রদান মাধ্যম হিসেবে অন্যতম নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়।
ভিসা (Visa) কার্ডের ব্যবহার
ভিসা কার্ড হচ্ছে বিশ্বব্যাপী পেমেন্ট সিস্টেম নেটওয়ার্ক। এর ব্যবহারও হয় অনেক।এই কার্ডটি বিভিন্ন আর্থিক পেমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এর ব্যবহারও নানামুখী।চলুন ভিসা কার্ডের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
১) অনলাইনে পেমেন্ট করতে গেলে যে কেউ চাইলে এটা দিয়ে পেমেন্ট করে দিতে পারে।ই-কমার্স সাইট থেকে কোনো পণ্য কিনতে চাইলে এই কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করে দিতে পারবেন।
২) স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক লেনদেনে পণ্য বা সেবা কেনার সময় এই ভিসা কার্ডটি ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন।
৩) হোটেল রিজার্ভেশন করার সময় এই কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করে হোটেল বুকিং দিতে পারবেন।
৪) বিদেশ ভ্রমণের সময় অর্থ প্রদানের দরকার হতে পারে,সব দেশের মুদ্রা তো আর এক না,তাই ঐ সময়ে আপনি এই ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
৫) বিদ্যুৎ, গ্যাস,পানি, ইন্টারনেট ও আরো অন্যান্য বিল আপনি এই ভিসা (Visa) দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।
৬) একটি ভিসা ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে
আপনি অন্য একটি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
৭) যখন আপনি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করবেন তখন আপনি ব্যাংক থেকে বা এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
৮) ভিসা কার্ডের মাধ্যমে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে
টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন।
সুতরাং ভিসা কার্ডের সুবিধা ও ব্যবহার নিশ্চই বুঝেছেন।এই কার্ডটি আপনি আরো অন্যান্য কাজও করতে পারবেন।
উপসংহার
ভিসা (Visa) কার্ড হচ্ছে আধুনিক, শক্তিশালী ও বহুমুখী টুলস।যার দ্বারা বৈদেশিক লেনদেন বা অর্থ প্রদান করা যায়।ভিসা কার্ড হচ্ছ এমন একটি কার্ড যা দ্বারা ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ীক লেনদেন করা যায়।
এই ভিসা কার্ডে সুবিধা ও নিরাপত্তা রয়েছে বিধায় এর ব্যবহারকারীও বেশি।সুবিধার দিক দিয়ে এটি মানুষের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।অনলাইন বা অফলাইন দুইদিকেই আপনি কেনাকাটা, বিল পরিশোধ সহ আরো অন্যান্য লেনদেন করা যায়।
আন্তর্জাতিক লেনদেনও করা যায় এই ভিসা কার্ড দিয়ে।
নগদ উত্তোলন, আরো ইত্যাদি কার্যক্রম করা যায় ভিসা কার্ড দিয়ে।অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ভিসা কার্ড হচ্ছে একটি আধুনিক কার্ড।
Tags
ব্যাংক