শারীরিক শক্তিতে বাদামের উপকারীতা
শারীরিক শক্তিতে বাদামের অসাধারণ ১০টি উপকারীতা।
আমাদের প্রত্যেকদিনের ব্যস্ত জীবনে শারীরিক শক্তি ধরে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বিষয়।কাজের চাপ,মানষিক চাপ ও আজে-বাজে খাবারের অভ্যাসের ফলে শারীরিক দূর্বলতা দেখা দেয়।
তবে প্রাকৃতিক উপায়ে সেই শক্তি ধরে রাখা যায়।আর সেটি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে বাদাম খাওয়া।বাদামে রয়েছে প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান যা শরীরকে শক্তিশালী করে ও কর্মক্ষম করে।এই ব্লগে আমরা শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবো।
১) প্রাকৃতিক প্রোটিনের সেরা উৎস।
বাদাম প্রাকৃতিক প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস। এটি পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরকে শক্তিশালী রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।যারা প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম করেন,তাদের বাদাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২) ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে সমৃদ্ধ।
আখরোট ও কাজুর মতো বাদামে রয়েছে ওমেগা - ৩ ফ্যাটি এসিড।এটি হার্টের সুস্থ রাখার পাশাপাশি শারীরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং অবসাদ দূর করে।
৩) ম্যাগনেসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এটি শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।কান্তি দূর করতেও সহায়ক এটি।
৪) এন্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।
বাদামে থাকা ভিটামিন E এবং অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে ও টক্সিন মুক্ত করে।এটি শরীরের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৫) ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ।
বাদামে পটাশিয়ামের উপস্থিতি শরীরের জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখে।যা শক্তি ধরে রাখার জন্য উপযুক্ত।
৬) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি।
বাদামে ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এটি শারীরিক পরিশ্রমে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৭) টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি।
বাদামে থাকা জিঙ্ক টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক।এটি বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে কার্যকরী বেশী।
৮) উচ্চ ক্যালরির উৎস।
বাদাম উচ্চ ক্যালরির একটি উৎস।এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।শরীরের ক্লান্তি দূর করতে পারে।
৯) প্রাকৃতিক ফ্যাটের সুষম উপাদান।
বাদামে প্রাকৃতিক ফ্যাট যা শরীরকে দীর্ঘক্ষণ ধরে কর্মক্ষম ও সক্রিয় রাখে।
১০) শক্তি পুনরুদ্ধারে কার্বোহাইড্রেট।
বাদামে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরের তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।যারা খেলাধুলা বা ভারী কাজের পরিশ্রম করেন তাদের জন্য এই বাদাম উপযুক্ত।
উপসংহার
প্রতিদিনের খাবারে যদি বিভিন্ন জাতের বাদাম খাওয়া যায় তাহলে শারীরিক শক্তি পাওয়া যাবে এবং কর্মক্ষম থাকতে পারা যায়।বাদাম যে শুধু শক্তি যোগায় তা কিন্তু না,বাদাম শরীরকে সক্রিয় ও সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে থাকে।
উচ্চ পরিমানে খাদ্য গুনাগুনের উৎস হিসেবে বাদাম প্রতিদিন হালকা পাতলা খাওয়া উচিত।এতে ব্যক্তির শারীরিক শক্তির পাশাপাশি আরো অন্যান্য উপকারীতাও পেয়ে যাবে।তাই প্রতিদিনের খাবারে বাদাম রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন